ভারতের বাজারে পাওয়া যাবে এ দেশে তৈরি আই ফোন-১৪। ফাইল ছবি
আর বেশি দেরি নেই। হয়তো সামনের মাস থেকেই ভারতের বাজারে পাওয়া যাবে এ দেশে তৈরি আই ফোন-১৪। অ্যাপল আই ফোনের নবতম সংস্করণ। তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুম্বুদুরে ফক্সকনের কারখানায় তৈরি সেই মোবাইল ফোন বিদেশেও রফতানি হবে।
প্রায় দু’দশক আগে থেকে ভারতে অ্যাপলের পণ্য বিক্রি হয়। তবে আমেরিকার স্মার্টফোন সংস্থাটি ২০১৭ সাল থেকে উৎপাদনের প্রক্রিয়া শুরু করে এখানে। তখন ফক্সকনের কারখানায় যন্ত্রাংশ জোড়া দিয়ে শুধু আই ফোন এসই উৎপাদন হত। তার পর আই ফোন-১২ এবং আই ফোন-১৩-এর উৎপাদনও শুরু হয়। এ বার ওই কারখানা থেকেই আই ফোন-১৪ বাজারে আসবে। অ্যাপলের বক্তব্য, ‘‘ভারতে আই ফোন-১৪ তৈরি করতে পেরে আনন্দিত। এই ফোনটিতে আধুনিকতম প্রযুক্তি রয়েছে। আছে শক্তিশালী সুরক্ষাব্যবস্থা।’’
অ্যাপলের কাছে ভারতের গুরুত্ব বাড়ছে কেন? বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ভারতে বৈদ্যুতিক পণ্যের বাজার দ্রুত বাড়ছে। সাম্প্রতিক অতীতে তার সুফল পেয়েছে অ্যাপলও। গত জুলাইয়ে এক বৈঠকে খোদ সংস্থার সিইও টিম কুক জানিয়েছিলেন, গত জুনে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকে ভারতে তাঁদের আয় এক বছর আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এর পাশাপাশি রয়েছে কৌশলগত কারণও। আই ফোন সব চেয়ে বেশি তৈরি হয় চিনে। কিন্তু আমেরিকার সঙ্গে চিনের বাণিজ্য যুদ্ধ মাথাচাড়া দেওয়ার পর থেকেই কৌশল বদলাতে থাকে অ্যাপল। চিনের বাইরে পণ্যের উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় তারা। জেপি মর্গ্যানের রিপোর্টে দাবি, চলতি বছরে চিন থেকে ভারতে ৫% উৎপাদন সরিয়ে আনতে চায় অ্যাপল। আর ২০২৫ সালে তা বেড়ে হতে পারে ২৫%।
সংশ্লিষ্ট মহলের আরও বক্তব্য, অতিমারির মোকাবিলায় চিন যে রকম কড়া পদক্ষেপ করেছে তা অন্যান্য সংস্থার পাশাপাশি অ্যাপলের সরবরাহ ব্যবস্থাও বিঘ্নিত হয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে ভারতের মাটিতে বৈদ্যুতিন পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের উৎসাহ প্রকল্প। সেমিকনডাক্টর চিপ উৎপাদনে ৭৬,০০০ কোটি টাকার ভর্তুকি প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে। তা-ও প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে উৎসাহিত করছে।