স্মার্ট ফোনে ডিজিটাল লেনদেন আরও সহজ ও সুরক্ষিত করতে সদ্য চালু মোবাইল-অ্যাপ ‘ভীম’ (‘ভারত ইন্টারফেস ফর মানি’)-কে উন্নত করল এটি প্রস্তুতকারী সংস্থা ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া (এনপিসিআই)।
এত দিন হিন্দি ও ইংরেজিতে ভীম ব্যবহার করা যেত। এনপিসিআই জানিয়েছে, এখন বাংলা, তামিল, তেলুগু, মালয়ালাম, কন্নড় ও গুজরাতি ভাষাতেও পরিষেবা পাবেন গ্রাহকরা। উল্লেখ্য, অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ‘গুগ্ল প্লে স্টোর’ থেকে ভীম অ্যাপটি ‘ডাউনলোড’ করে যে কেউ তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সেখানে যোগ করে লেনদেন করতে পারেন। এই পরিষেবার মূল সুবিধা, অন্যের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য না-জেনেও ব্যবহারকারীরা একে অপরকে টাকা পাঠাতে বা চাইতে পারবেন। শুধু সেই দু’জনের স্মার্ট ফোনে ভীম অ্যাপের অ্যাকাউন্ট থাকলেই হল। ব্যক্তিগত লেনদেন ছাড়াও কেনাকাটার পরে এতে টাকা মেটানোর সুযোগ মিলবে।
নতুন ভীম অ্যাপটি দিয়ে অন্যের আধার নম্বরের ভিত্তিতেও তাঁকে টাকা পাঠানো যাবে। তবে যাঁকে পাঠানো হবে, তাঁর আধার নম্বর ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে।
ভীম মারফত টাকা পাঠানোর পাশাপাশি টাকা চাওয়াও যায়। কিন্তু কোনও অপরিচিত ব্যক্তি যাতে ভীম গ্রাহককে এমন অনুরোধ না-পাঠাতে পারেন, সে জন্য এখন এই অ্যাপ-এ ‘স্প্যাম রিপোর্ট’ পরিষেবার সুযোগ মিলবে, যাতে সেই গ্রাহক চাইলে এমন অনুরোধ পাওয়া আটকাতে পারেন। তেমনই অ্যাপের গ্রাহকরা অভিযোগ সংক্রান্ত পরিষেবাও পাবেন।
এনপিসিআই-এর এমডি তথা সিইও এ পি হোতা বলেন, ‘‘নতুন ও উন্নত ভীম এ রকম বাড়তি সুরক্ষার পাশাপাশি ডিজিটাল লেনদেন আরও সহজ করবে। গ্রাহক ও ব্যবসায়ীরা আরও বেশি করে এই অ্যাপ ব্যবহার করবেন বলেই আমাদের আশা।’’
‘ডিজিটাল’ লেনদেন সহজ করতে গত মাসে স্মার্ট ফোনে সব ব্যাঙ্কের জন্য ‘অভিন্ন ইউনিফায়েড পেমেন্টস ইন্টারফেস’ (ইউপিআই) অ্যাপ চালুর কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নাম দেওয়া হয় ভীম। এর আগে অবশ্য এনপিসিআই-এর গড়া প্রাথমিক পরিকাঠামো ও নিয়মের ভিত্তিতে কিছু ব্যাঙ্ক তাদের নিজস্ব নামের ইউপিআই অ্যাপ এনেছিল। কিন্তু সেগুলি জনপ্রিয় হচ্ছিল না বলেই খবর। বহু ব্যাঙ্ক তা তৈরিও করে উঠতে পারেনি। তাই কেন্দ্র ব্যাঙ্কগুলির উপর পুরোপুরি ভরসা না-করে এনপিসিআইকেই সকলের জন্য একটি অভিন্ন ইউপিআই অ্যাপ চালু করার নির্দেশ দেয়। সেই মঞ্চেই যোগ দেয় ব্যাঙ্কগুলি।