ফের মোবাইল তৈরির ব্যবসায় ফিরছে নোকিয়া। সে জন্য ইতিমধ্যেই নতুন করে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী নিয়োগ, এবং বিপণন সহযোগীর খোঁজও শুরু করেছে ফিনল্যান্ডের শতাব্দী প্রাচীন এই সংস্থা। তবে পুরোদস্তুর মোবাইল আনতে এখনও বছর দু’য়েক অপেক্ষা করতে হবে এক সময়ে মোবাইল হ্যান্ডসেট বাজারের প্রায় একচ্ছত্র অধিপতি নোকিয়াকে। কারণ, মাইক্রোসফটের কাছে মোবাইল ব্যবসা বিক্রির শর্ত অনুসারে ২০১৬-র শেষ দিকের আগে নতুন করে ফোন তৈরির ব্যবসায় নামতে পারবে না তারা।
গত জানুয়ারিতেই চিনের বাজারে অ্যান্ড্রয়েড প্রযুক্তি চালিত ট্যাবলেট ‘এন-১’ এনেছে নোকিয়া। সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ করেছে নোকিয়ার নতুন প্রযুক্তির ক্যামেরাও। যাকে ইতিমধ্যেই নোকিয়ার ‘নবজন্ম’ বলে দাবি করেছে সংস্থা নিজেই। এতেই শেষ নয়, স্মার্ট ফোনে বিভিন্ন পরিষেবা সাজিয়ে রাখার জন্য বিশেষ অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ) ‘জে়ড লঞ্চার’-ও তৈরি করেছে তারা। আর এ সবই নতুন করে ফোনের ব্যবসায় পা রাখার প্রথম ধাপ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
নোকিয়ার সিইও রাজীব সুরি সম্প্রতি জানিয়েছেন, ঝুঁকি কমাতে নোকিয়া ব্র্যান্ড-নাম এবং প্রযুক্তি সরবরাহ করার পথই নেবেন তাঁরা। এই ক্ষেত্রে নিজেরা ফোন তৈরি না-করে, অন্য নির্মাতা সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে নোকিয়া ব্র্যান্ডের ফোন আনবে সংস্থা। যা বিক্রি এবং বিপণনের দায়িত্বেও থাকবে নির্মাতা সংস্থাই। কিন্তু এই পদ্ধতি কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়েও দ্বিধা রয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। কারণ, একেই স্মার্ট ফোনের জগতে অ্যাপল, স্যামসাং, গুগ্লের সঙ্গে পাল্লায় পেরে ওঠেনি তারা। পাশাপাশি, চিনের জিয়াওমি, ভারতের মাইক্রোম্যাক্সের মতো সংস্থা ইতিমধ্যেই কম দামি ফোনের বাজার অনেকটা দখল করেছে।