৭ এপ্রিলের পরে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি দর যেমন বাড়ায়নি, তেমন কমায়ওনি। ফাইল ছবি
অশোধিত তেলের দাম উল্লেখযোগ্য ভাবে না কমলে দেশে পেট্রল-ডিজ়েলেরও কমার সম্ভাবনা নেই। সোমবার বার্ষিক সভার পরে সংবাদমাধ্যমকে এই কথাই বললেন ভারত পেট্রোলিয়ামের (বিপিসি) সিএমডি অরুণ কুমার সিংহ।
উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট মিটতেই রেকর্ড ছুঁয়েছিল তেল। পরে কেন্দ্র সেগুলির উৎপাদন শুল্ক কিছুটা কমালেও দামে স্বস্তি ফেরেনি। ৭ এপ্রিলের পরে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি দর যেমন বাড়ায়নি, তেমন কমায়ওনি। এমনকি অশোধিত তেল ব্রেন্ট ক্রুড সম্প্রতি ১০০ ডলারের নীচে নামলেও, ফলে ফের অভিযোগ ওঠে, বিশ্ব বাজারে তেল চড়লে দেশে জ্বালানির দাম যত দ্রুত বাড়ে, উল্টোটা হলে সে ভাবে তার সুবিধা পান না আমজনতা।
এ দিন অরুণের বক্তব্য, আমদানি খাতে তেল সংস্থাগুলির আর্থিক বোঝা বাড়লেও দেশে দাম বাড়ানো হয়নি। বিশ্ব বাজারে দাম এত দ্রুত (দৈনিক প্রায় ৫-৭ ডলার) ওঠানামা করছে যে, তার ভিত্তিতে দেশে দামের পরিবর্তন অসম্ভব। তবে বিশ্ব বাজারে এই অস্থিরতা বেশি দিন চলবে না এবং দর কমবে বলে তিনি আশাবাদী। তখন কি পেট্রল-ডিজ়েল সস্তা হবে? অরুণের জবাব, ‘‘অশোধিত তেল উল্লেখযোগ্য ভাবে না কমলে কিংবা অন্যান্য মাপকাঠি না বদলালে এখনই সেই সুযোগ নেই।’’ তাঁর দাবি, পেট্রলে সংস্থাগুলির ক্ষতি হচ্ছে না। আগামী মাস থেকে রান্নার গ্যাসেও হয়তো হবে না। কিন্তু ডিজ়েলে লোকসানে তাঁরা। সংস্থার ডিরেক্টর (ফিনান্স) ভি আর গুপ্ত জানান, চলতি অর্থবর্ষে ১০ হাজার কোটি ও পাঁচ বছরে ১.৪০ লক্ষ কোটি টাকা মূলধনী খাতে লগ্নি হবে।