প্রতীকী ছবি।
ডিজিটাল মুদ্রাকে কি স্বীকৃতি দেবে কেন্দ্র? পেলেও সেই স্বীকৃতি মিলবে কী হিসাবে, মুদ্রা নাকি সম্পদ? সংসদে ডিজিটাল মুদ্রা বিল পাশ হওয়ার আগে এই সমস্ত প্রশ্নের স্পষ্ট উত্তর পাওয়া কঠিন। তবে সোমবার লোকসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়ে দিলেন, বিটকয়েনকে মুদ্রার স্বীকৃতি দেওয়ার কোনও প্রস্তাব সরকারের তরফে নেই। ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, প্রশ্ন এবং উত্তর নির্দিষ্ট ভাবে বিটকয়েনের উপরে হলেও, সামগ্রিক ভাবে ডিজিটাল মুদ্রা সম্পর্কেই কেন্দ্রের মনোভাব এ দিন কিছুটা পরিষ্কার হয়েছে। অন্তত লেনদেনের মাধ্যম হিসাবে সেগুলির স্বীকৃতি মেলার সম্ভাবনা কার্যত নেই।
কর্নাটকে বিটকয়েন কাণ্ডের পর বিষয়টি নিয়ে হঠাৎই সরগরম হয়েছে আর্থিক ও লগ্নির দুনিয়া। এ ব্যাপারে সরকারি স্তরে দু’টি বৈঠক হয়েছে। যার একটি পৌরোহিত্য করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে সূত্রের খবর, ক্রিপ্টোকারেন্সি এক্সচেঞ্জগুলির প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বিভিন্ন মহল থেকেই আর্জি জানানো হয়, মুদ্রার স্বীকৃতি না দিয়ে শেয়ার, ঋণপত্র, সোনার মতো সম্পদের মর্যাদা দেওয়া হোক এগুলিকে। আনা হোক কড়া নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার আওতায়। কারণ, এর পিছনে যে আধুনিকতম প্রযুক্তি রয়েছে, তাকে অস্বীকার করা কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। বিভিন্ন মহলের মতামতের ভিত্তিতে চলতি শীতকালীন অধিবেশনেই হয়তো ডিজিটাল মুদ্রা সংক্রান্ত বিল সংসদে পেশ করবে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, হাতে গোনা কয়েকটি বেসরকারি ডিজিটাল মুদ্রা বাদে বাকিগুলির লেনদেন নিষিদ্ধ করতে পারে সরকার।
এ দিনই এক জনস্বার্থ মামলায় বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে ডিজিটাল মুদ্রা সংক্রান্ত বিলের ব্যাপারে আদালতে তথ্য পেশ করতে।
অন্য দিকে, সংসদে সরকার আরও জানিয়েছে, ডিজিটাল মুদ্রাকে ‘ব্যাঙ্ক নোটের’ সংজ্ঞার আওতায় আনার ব্যাপারে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের প্রস্তাব পেয়েছে তারা। উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে নিজেদের তৈরি ডিজিটাল মুদ্রা চালু করার পক্ষে মত দিয়েছিল শীর্ষ ব্যাঙ্ক। তার ভিত্তিতেই এই প্রস্তাব রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের।