স্ট্যাগফ্লেশন এমন এক পরিস্থিতি, যখন দেশের আর্থিক বৃদ্ধি ঝিমিয়ে থাকে। প্রতীকী ছবি।
পেট্রল-ডিজ়েল, রান্নার গ্যাসের দাম মাত্রাছাড়া। খুচরো বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের বেঁধে দেওয়া সহনসীমা পেরিয়ে আট মাসের মধ্যে সব থেকে বেশি হয়েছে ফেব্রুয়ারিতে (৬.০৭%)। পাইকারি বাজারের মূল্যবৃদ্ধিও আঁতকে ওঠার মতো (১৩.১১%)। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের অর্থনীতির স্বাস্থ্য নিয়ে আশঙ্কা দানা বাঁধলেও, তা উড়িয়ে দিলেন সরকারি উপদেষ্টা সংস্থা নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার। যাবতীয় সমালোচনা খারিজ করে উল্টে তার দাবি, ভারতের অর্থনীতি বিরাট ভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর ঠিক মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। ভারতে স্ট্যাগফ্লেশন-এর আশঙ্কাকেও ‘অতিরঞ্জিত’ বলে দাবি করেন তিনি।
স্ট্যাগফ্লেশন হল এমন এক পরিস্থিতি, যখন দেশের আর্থিক বৃদ্ধি ঝিমিয়ে থাকে। অথচ মূল্যবৃদ্ধির হার মাথাচাড়া দেয়। এই অবস্থায় অর্থনীতির উন্নয়ন থমকে যায়। ঝিমিয়ে পড়ে শিল্পের কর্মকাণ্ড। বেকারত্ব বাড়ে। জ্বালানির দাম এবং তার হাত ধরে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার যে ভাবে মাথা তুলছে, তাতে ইতিমধ্যেই ভারতকে স্ট্যাগফ্লেশনের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেছে মর্গ্যান স্ট্যানলির মতো উপদেষ্টা সংস্থা। বৃদ্ধির হারও কমিয়েছে ফিচ, ক্রিসিল থেকে শুরু করে অনেকে।
রাজীব বলেন, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৭.৮% হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এটা স্ট্যাগফ্লেশনের সংজ্ঞার ধারেকাছেও আসে না। তাঁর কথায়, ‘‘আমার মনে হয় এটা বাড়িয়ে
বলা হচ্ছে।’’
রবিবার এক সাক্ষাৎকারে আয়োগ কর্তার দাবি, সমস্ত পরিসংখ্যান থেকে এটা মোটামুটি পরিষ্কার যে, ভারত বিশ্বের দ্রুততম বৃদ্ধির অর্থনীতিই রয়ে যাবে। কারণ, গত সাত বছরে সরকার সংস্কারের রথকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় দেশের অর্থনীতির জমি এখন পোক্ত। যা তাকে চাঙ্গা হওয়ার মুখে পৌঁছে দিয়েছে। যদিও তিনি মানছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে অর্থনীতি অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। জিডিপি বৃদ্ধির হার সংশোধন করতে হতে পারে।