কার্লোস ঘোসন। এএফপি
সোমবার জাপানে নিসান চেয়ারম্যান কার্লোস ঘোসন গ্রেফতার হতেই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ তাঁর দেশের গাড়ি সংস্থা রেনোর ভবিষ্যতের দিকে কড়া নজর রাখার বার্তা দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী ব্রুনো ল্য মেয়ার জানালেন, রেনোয় নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যই নন ঘোসন। যে কারণে তাঁকে চেয়ারম্যান তথা সিইও পদ থেকে সরাতে এ দিনই তড়িঘড়ি বৈঠকে বসতে বললেন পর্ষদকে। নির্দেশ দিলেন, অন্তর্বর্তীকালীন পরিচালন কাঠামো তৈরির। তবে নিসান-রেনোর জোটকে বাঁচাতে চেয়েছে ফরাসি সরকার। সূত্রের খবর, রেনোর নেতৃত্বের রাশ যেতে পারে থিয়েরি বোল্লরের হাতে।
রেনোতে ফরাসি সরকারের ১৫% অংশীদারি। আবার নিসানে রেনোর শেয়ার ৪৩.৪%। পরে জোটে যুক্ত হয় জাপানি সংস্থা মিৎসুবিশিও। গাড়ি শিল্পের অনেকে বলছেন, গাঁটছড়ায় ছায়া পড়বে ঘোসনের সরে যাওয়ার। বিশেষত নিসানও যেখানে তাঁকে চেয়ারম্যান পদ থেকে বরখাস্তের ইঙ্গিত দিয়েছে।
আয় কম করে দেখানো ও সংস্থার অর্থ ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের অভিযোগেই গ্রেফতার হয়েছেন ঘোসন ও নিসানের ডিরেক্টর গ্রেগ কেলি। ঘটনার ধাক্কায় টানা নামছে রেনো, নিসান, মিৎসুবিশির শেয়ার দর। ঘোসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ছড়িয়েছে ফ্রান্স ও জাপানে। তবে লেবাননকে পাশে পেয়েছেন তিনি। আদতে যা তাঁর পূর্বপুরুষের দেশ। সেখানকার বিদেশমন্ত্রীর ঘোষণা, ঘোসন লেবাননের সাফল্যের মডেল। তিনি যেন সঠিক বিচার পান।