সীতারামনের ইঙ্গিত, এই অর্থবর্ষেই আসবে রাষ্ট্রায়ত্ত জীবন বিমা সংস্থাটির আইপিও। ফাইল চিত্র।
আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রভাবে টানা পড়ছে শেয়ার বাজার। এই পরিস্থিতিতে প্রথম বার বাজারে এলআইসি-র শেয়ার (আইপিও) বিক্রির সিদ্ধান্ত পিছোনো হবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সেই সম্ভাবনা কার্যত খারিজ করে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের ইঙ্গিত, এই অর্থবর্ষেই আসবে রাষ্ট্রায়ত্ত জীবন বিমা সংস্থাটির আইপিও। সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, গত বছর বাজেটে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, সেই পথে এগোনোর প্রক্রিয়াও
জারি রয়েছে।
এ দিকে, প্রধানমন্ত্রী জীবন জ্যোতি বিমা যোজনার গ্রাহকেরা নতুন ইসুতে বিমাকারীদের জন্য রাখা শেয়ার কম দামে কেনার সুযোগ পাবেন না বলে স্পষ্ট করেছে এলআইসি। সোমবার সংস্থার চেয়ারম্যান এম আর কুমারের এক বক্তব্যকে ঘিরে বিভ্রান্তি ছড়ানোর পরেই এ দিন এলআইসি বিবৃতিতে বলেছে, এই প্রকল্পটি গোষ্ঠী বিমা প্রকল্প এবং তার গ্রাহকেরা যোগ্য নন।
এ দিন আর্থিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন পর্ষদের বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের নির্মলা বললেন, ইতিমধ্যেই খসড়া প্রস্তাব সামনে এসেছে। এই ইসু নিয়ে উৎসাহও দেখা গিয়েছে। ফলে সেটি আনার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবেন তাঁরা। তবে সেই সঙ্গে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। যদিও অনেকের মতে, চলতি অর্থবর্ষে রাজকোষ ঘাটতির লক্ষ্যপূরণের জন্য কেন্দ্রের কাছে এলআইসি-র আইপিও আসা এবং তা সফল হওয়া জরুরি। কিন্তু অর্থবর্ষ শেষ হতে আর পাঁচ সপ্তাহ বাকি। এখনও শেয়ার ইসুর দিন ঘোষণা হয়নি। জানানো হয়নি তার মূল্যবন্ধনীও। তার উপরে বাজার নাগাড়ে পড়ছে। ফলে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে এলআইসির শেয়ার আসার যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, বর্তমান অবস্থায় তা আদৌ হবে কি না সেই প্রশ্ন থাকছেই।
সোমবার কুমার বলেছিলেন, তাঁরা মার্চে আইপিও আনতে আগ্রহী ঠিকই, তবে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিতেও নজর রাখছেন। নির্মলা অবশ্য বলেন, বাজারের অবস্থা যদি এলআইসি-র আইপিও-র জন্য ভাল হয়, তা হলে সেটা বাকি সব কিছুর জন্যই ভাল। আর তা সংস্থার সামনে চ্যালেঞ্জের হলে, বাকিগুলিও সংশয়ের
মুখে পড়বে। এ দিকে, এনএসই পরিচালনায় খামতি ছিল কি না, তা সরকার খতিয়ে দেখছে বলেও এ দিন জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। যদিও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ঠিক মতো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল কি না, সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি তিনি।