অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।—ছবি পিটিআই।
করোনা ও তাকে যুঝতে লকডাউনের ধাক্কায় বিপাকে পড়া সংস্থাগুলির জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সহজে ঋণ শোধের প্রকল্প তৈরি করতে হবে। আজ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ব্যাঙ্ক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে এই নির্দেশ দিয়েছেন।
অর্থ মন্ত্রকের বক্তব্য, কোভিড-লকডাউনের ধাক্কা সামলেও যে সব সংস্থা ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবে, আগের ঋণ শোধের সহজ বন্দোবস্ত করে দিলে যারা ধীরে ধীরে সব টাকা মিটিয়ে দিতে পারে বলে মনে হয়, তাদের সুরাহা দেওয়া হবে বলে আগেই ঠিক হয়েছিল। আজ ব্যাঙ্ক ও অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্তাদের অর্থমন্ত্রীর নির্দেশ, এই সংস্থাগুলিকে দ্রুত চিহ্নিত করে সহজে ঋণ শোধের প্রস্তাব পৌঁছে দিতে হবে।
নির্মলা মনে করিয়েছেন, ব্যাঙ্ককে মাথায় রাখতে হবে অতিমারিতে অধিকাংশ সংস্থার ব্যবসা মার খেয়েছে। ফলে তার ভিত্তিতেই ঋণ শোধের ক্ষমতা বিচার করতে হবে। লকডাউন জারির পরে ঋণ শোধের কিস্তিতে স্থগিতাদেশ (মোরাটোরিয়াম) জারির সিদ্ধান্ত হয়েছিল। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, মোরাটোরিয়াম উঠে যাওয়ার পরেও শিল্প ও ব্যবসায়িক সংস্থাগুলিকে সাহায্য করতে হবে। অর্থ মন্ত্রকের বক্তব্য, এনবিএফসির কর্তারা জানিয়েছেন, প্রকল্প তৈরি। সুবিধা নেওয়ার যোগ্য সংস্থাগুলিকে চিহ্নিত করে যোগাযোগ শুরু করেছেন তাঁরা।
অধিকাংশ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক কর্তাদের অনুমান, বিলি করা ঋণের ৫-৭ শতাংশ ঋণের ক্ষেত্রে সহজে শোধ করার ব্যবস্থা করতে হবে। বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্তাদের মতে, ডিসেম্বরের পরে বোঝা যাবে বাস্তব পরিস্থিতি। অগস্টের গোড়াতেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কর্পোরেট, ছোট-মাঝারি শিল্প ও ব্যক্তিগত ঋণের ক্ষেত্রে সহজে ঋণ শোধের প্রকল্প ঘোষণা করেছিল। যে সব সংস্থা ১০০ কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়ে রেখেছে, তাদের কোন কোন মাপকাঠিতে এই সুবিধা দেওয়া যায়, তা দেখতে তৈরি হয়েছে কে ভি কামাথ কমিটি। শীঘ্রই রিপোর্ট পেশ করবে তারা।