অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।—ছবি পিটিআই।
জিএসটি থেকে ভালই আয় হচ্ছে বলে দাবি করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কিন্তু তাঁর মন্ত্রক জিএসটি ক্ষতিপূরণ বাবদ রাজ্যগুলির পাওনা কেন মেটাচ্ছে না, সে প্রশ্নের জবাব দিলেন না।
জিএসটি বাবদ ক্ষতিপূরণ মিলছে না বলে সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ-সহ পাঁচ রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বিবৃতি দিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। আজ রাজ্যসভায় অর্থনীতির ঝিমুনি নিয়ে আলোচনায় কংগ্রেস, তৃণমূল, আম আদমি পার্টির নেতারাও এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কিন্তু জবাব দেননি অর্থমন্ত্রী। প্রতিবাদে একে একে আম আদমি পার্টি, কংগ্রেস, তৃণমূলের সাংসদরা ‘ওয়াক আউট’ করেন।
তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘‘শিল্প মহল কি সরকারকে বিশ্বাস করছে? শরিকরা কি বিশ্বাস করছেন? পরিসংখ্যান নিয়ে কি তাদের বিশ্বাস করা যায়? তেমনই প্রশ্ন, কেন্দ্রকে কি রাজ্যগুলি বিশ্বাস করছে? কেন্দ্র কি রাজ্যের পাওনা জিএসটি ক্ষতিপূরণ মেটাচ্ছে? পাওনা টাকা মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে না কেন?’’
সম্প্রতি দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, পঞ্জাব, রাজস্থানের অর্থমন্ত্রীরা অভিযোগ তুলেছিলেন, কেন্দ্র জিএসটি ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে দেরি করছে। এখনও অক্টোবরে জিএসটি ক্ষতিপূরণ খাতে রাজ্যগুলিকে টাকা দেওয়া হয়নি। সাধারণত অক্টোবরেই অগস্ট-সেপ্টেম্বরের ক্ষতিপূরণ মেটানো হয়।
আজ ডেরেকের সঙ্গে আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিংহও এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সরব হন তৃণমূলের মানস ভুঁইয়া। কংগ্রেসের পঞ্জাবের সাংসদ প্রতাপ সিংহ বাজওয়া বলেন, পঞ্জাবের বকেয়া ৪,১০০ কোটি টাকা ছুঁয়েছে। তবে নির্মলা ছিলেন নীরবই।
অর্থনীতির ঝিমুনির জেরে কেন্দ্রের জিএসটি থেকে আয় কমছে। আয় কমছে সেস খাতেও। যেখান থেকে রাজ্যগুলিকে জিএসটি-তে রাজস্ব লোকসানের ক্ষতিপূরণ দেয় কেন্দ্র। কংগ্রেসের অভিযোগ, তড়িঘড়ি জিএসটি আনায় সমস্যা রয়ে গিয়েছে। কিন্তু নির্মলার দাবি, জিএসটি থেকে ভাল আয় হচ্ছে। ডেরেক বলেন, ‘‘২০১৩-এ গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, অর্থনীতি সঙ্কটে। সস্তার রাজনীতি না করে অর্থনীতিতে নজর দিন। প্রধানমন্ত্রী অন্তত নিজের উপদেশ শুনুন।’’
আজ কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল, ইউপিএ জমানায় বিজেপি জিএসটি-তে বাধা দিয়েছিল। নির্মলা পাল্টা বলেন, রাজ্যের ক্ষতিপূরণ মেটানো নিয়ে ফয়সালা হয়নি বলেই তখন তা চালু হয়নি। মোদীর আমলে আইন তৈরি হয়, জিএসটি থেকে রাজ্যের নির্দিষ্ট পরিমাণ আয় না হলে, কেন্দ্রকে সেই ক্ষতি পূরণ করে দিতে হবে। তা হলে সেটা মেটাতে এত দেরি কেন? তার জবাব অবশ্য দেননি নির্মলা।