—ফাইল চিত্র।
অর্থনীতিকে বাঁচাতে রাজকোষ ঘাটতির চিন্তা ভুলে সরকারকে হাত খুলে খরচ করতে বলছেন শিল্পকর্তা থেকে অর্থনীতিবিদ, সকলেই। এই অবস্থায় বণিকসভা অ্যাসোচ্যামের পরে আইসিসি-র বার্ষিক সভাতেও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের আশ্বাস, বাজেটে সরকারি বরাদ্দ অব্যাহত থাকবে। বরং তার গতি আরও বাড়বে। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, শুধুমাত্র সংস্কারের বিজ্ঞাপন আর অর্থনীতিকে ছন্দে ফিরতে দেখার আশ্বাসে যে চিঁড়ে ভিজবে না, বিলক্ষণ বুঝেছেন নির্মলা। তবে চড়া ঘাটতি মাথায় নিয়ে খরচে গতি আনার এই প্রতিশ্রুতি শেষ পর্যন্ত রাখা হবে কি না, সে প্রশ্ন থাকছেই।
বিরোধীরা তো বটেই, কেন্দ্রের ত্রাণ প্রকল্পের বাস্তবতা নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলছেন বিশ্বের তাবড় অর্থনীতিবিদেরা। অভিযোগ উঠেছে, রাজকোষের অর্থ বরাদ্দের বদলে প্রকল্পগুলি ভরা ঋণের সুবিধায়। বিক্রিবাটা না-বাড়লে ধার নিয়ে হিসেবের খাতায় ক্ষতি বাড়ানোর ঝুঁকি কে নেবে?
বৃহস্পতিবার আইসিসি-র সভায় নির্মলার অবশ্য ফের দাবি করেন, তাঁদের ত্রাণ প্রকল্পে সরাসরি নগদ আর্থিক সাহায্যও রয়েছে। তবে একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘অতিমারি এতটাই ভয়াবহ যে, কোনও সাহায্যই যথেষ্ট নয়।’’ তার পরেই বাজেটে সরকারি বরাদ্দ বাড়ানোর বার্তা দেন তিনি, মূলত পরিকাঠামো ও মূলধনী খাতে।
প্রশ্ন বহাল
• কেন্দ্রীয় ত্রাণ প্রকল্পের সিংহভাগই ঋণ, সরকারি খরচ কতটুকু?
• চড়া রাজকোষ ঘাটতি মাথায় নিয়ে কেন্দ্র সত্যিই ব্যয় বাড়াতে পারবে কি?
• সংস্কারেরও আগে আমজনতার হাতে টাকা দেওয়া জরুরি নয় কি?
• হাতে টাকা না-এলে
চাহিদা বাড়বে কী করে? চাহিদা না-বাড়লে ঋণ
নিয়ে লাভ কী?
• বিলগ্নিতে সাড়া মিললে লক্ষ্যের ধারেকাছে পৌঁছনো গেল না কেন?
শিল্প এতদিন ত্রাণ প্রকল্প নিয়ে কেন্দ্রের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেও, নির্মলার সঙ্গে বাজেট প্রস্তুতির প্রথম বৈঠকেই দাবি করেছিল আর্থিক বৃদ্ধির জন্য আরও টাকা ঢালুক কেন্দ্র। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, তাই ত্রাণ প্রকল্পের সাফল্য নিয়ে বড়াই করেও সরকারি খরচের আশ্বাস দিতেই হল অর্থমন্ত্রীকে।