প্রতীকী চিত্র
বাজেটে ব্যক্তিগত আয়করের হারের বিকল্প কাঠামো ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেই কাঠামোয় গেলে করের হার কমবে ঠিকই। কিন্তু মিলবে না চালু একগুচ্ছ প্রকল্পে করছাড়ের সুবিধা। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত দেশের সঞ্চয়ের হারকে আরও টেনে নামাবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ। নির্মলা যদিও আজ জানিয়েছেন, সরল কর ব্যবস্থা চালুর জন্যই নতুন বিকল্প এনেছে সরকার।
বাজারে চাহিদা না-থাকার জের পড়েছে বিক্রিবাটার উপরে। কেন্দ্রের লক্ষ্য, মানুষের হাতে আরও বেশি টাকা জুগিয়ে চাহিদাকে চাঙ্গা করা। বাজেট প্রস্তাব সে দিক দিয়ে সামান্য সুরাহার পথ দেখালেও, এতে গৃহস্থের সঞ্চয়ের হার কমবে বলেই মনে করেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পাবলিক ফিনান্স অ্যান্ড পলিসির অধ্যাপক এন আর ভানুমূর্তি। তাঁর মতে, নতুন ব্যবস্থায় করের হার কমার সঙ্গে সঙ্গে কর ছাড়ও উঠবে। ফলে এতে সঞ্চয়ের উপরে প্রভাব পড়বে। একই কথা জানিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও অর্থনীতিবিদ যোগেন্দ্র আলঘও।
বিভিন্ন রিপোর্ট জানাচ্ছে, গত ছ’বছরে উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে দেশে সঞ্চয়ের হার। ২০১২ সালে যেখানে ওই হার ছিল প্রায় ৩৬%, সেখানে এখন তা ৩০%। ভানুমূর্তির মতে, সঞ্চয় ইতিমধ্যেই কমেছে। ফলে তা টেনে তুলতে আশা ছিল করছাড় যুক্ত বন্ড ফের চালু করা হবে। কিন্তু যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাতে ঠিক উল্টো প্রভাবই পড়বে। নির্মলার যদিও দাবি, এই সিদ্ধান্তে কর ব্যবস্থা আরও সরল হবে। তিনি আজ বলেন, ‘‘সমস্ত ছাড় তোলারই পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। সেই ভাবনা থেকেই এ বার কিছু ছাড় তোলা হয়েছে। কিন্তু সবগুলি কবে তুলে নেওয়া হবে, সে বিষয়ে কোনও দিন ঠিক হয়নি।’’
তবে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক রোহিত আজাদের মতে, ‘‘অর্থনীতির গতি এমনিতেই যেখানে শ্লথ, সেখানে সঞ্চয় কমলে খুব একটা ক্ষতি নেই। তবে এমন একটা ধারণা তৈরি করা হচ্ছে যে, এতে করের অঙ্ক কমবে। অথচ মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্তদের ক্ষেত্রে সে রকম হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই।’’ উল্লেখ্য, এর আগে রাজস্ব সচিব অজয়ভূষণ পাণ্ডে বলেছিলেন, কেন্দ্রের আশা প্রায় ৮০% করদাতাই আয়কর দেওয়ার জন্য নতুন বিকল্প কাঠামো বেছে নেবেন।