ভারতে এপ্রিল থেকে মার্চের বদলে নতুন আর্থিক বছর চালু করার দাবি উঠছে দীর্ঘ দিন ধরে। এ বার সেই পথে হাঁটতেই কোমর বাঁধল নরেন্দ্র মোদী সরকার। নতুন অর্থবর্ষ চালু করা সম্ভব কি না এবং সেটা বছরের ঠিক কোন সময় থেকে শুরু হলে যাবতীয় হিসেব-নিকেশ সব থেকে সুবিধাজনক ও যুক্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন করা যাবে, তা খতিয়ে দেখতে কমিটি গড়ল তারা। যার নেতৃত্বে থাকছেন প্রাক্তন মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা শঙ্কর আচার্য।
এমনিতে বিশ্ব জুড়ে বহু দেশেই আর্থিক বছর ও ক্যালেন্ডার বছর একই। জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর। তবে ব্রিটেনে তা আলাদা। ক্যালেন্ডার বছর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর। আর অর্থবর্ষ এপ্রিল থেকে মার্চ। ভারতও এই নিয়মই অনুসরণ করে।
এ দিন কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, আচার্যের নেতৃত্বে গঠিত ওই কমিটি নতুন আর্থিক বছর চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই করবে। খতিয়ে দেখবে বছরটি শুরু হওয়ার বিভিন্ন তারিখ ধরলে খুঁটিনাটি সুবিধা-অসুবিধা কী কী হতে পারে। যার আওতায় থাকবে বর্তমান এপ্রিল-মার্চ অর্থবর্ষের ভাল-মন্দও। তার পর নিজেদের সুপারিশ নিয়ে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে তারা। মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘‘দেশের পক্ষে বছর শুরুর সব থেকে ভাল সময় বলে কমিটি যেটা মনে করবে, সেটাই সুপারিশ করবে।’’
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, প্রাক্তন ক্যাবিনেট সচিব কে এম চন্দ্রশেখর, তামিলনাড়ুর প্রাক্তন অর্থসচিব পি ভি রাজারামন ও সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চের সিনিয়র ফেলো রাজীব কুমার। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, কমিটিকে পর্যালোচনা করে দেখতে হবে বছরের কোন সময়ে আয়-ব্যয়ের যথাযথ হিসেব পাবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। যেমন, নতুন অর্থবর্ষ ঠিক করায় সামঞ্জস্য রাখতে হবে কৃষি মরসুমের সঙ্গে। বিশ্লেষণ করতে হবে ব্যবসা, কর কাঠামো, বাজেট তৈরি ও অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রের তথ্য-পরিসংখ্যান সংগ্রহের উপর তার প্রভাব।