ফাইল চিত্র
রাজকোষে টান পড়েছে। তাই চলতি অর্থবর্ষে নতুন কোনও সরকারি প্রকল্প আর চালু করবে না মোদী সরকার।
নির্মলা সীতারামনের অর্থ মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই আর্থিক বছরে আর কোনও নতুন প্রকল্প চালু করে টাকা ঢালা হবে না। নতুন কোনও প্রকল্পে দেওয়া হবে না অনুমোদনও। শুধু করোনা-সঙ্কট ও লকডাউনের জেরে গরিব মানুষের সুরাহায় যে ‘প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা’ ও খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষিত ‘আত্মনির্ভর ভারত অভিযান’-এর আওতায় ঘোষিত প্রকল্প এর মধ্যে ব্যতিক্রম।
আজ অর্থ মন্ত্রকের ব্যয় বিভাগ এক নির্দেশিকায় জানিয়েছে, অতিমারির ফলে সরকারি কোষাগারে অভূতপূর্ব চাপ তৈরি হয়েছে। ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি ও পরিবর্তিত অগ্রাধিকার অনুযায়ী মেপে খরচ করতে হবে। তাই যে সব প্রকল্পে নীতিগত সায় দেওয়া হয়ে গিয়েছে সেগুলিও এ বছর চালু না করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর কোনও প্রকল্পে নতুন করে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হবে না। সমস্ত নতুন প্রকল্প চালুর সিদ্ধান্ত ২০২১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত।
চলতি অর্থবর্ষের গোড়া থেকেই লকডাউনের জেরে রাজস্ব আদায় কার্যত তলানিতে। এপ্রিলে সব ক্ষেত্রেই কেন্দ্রের আয় কমেছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের সিংহভাগই বন্ধ থাকায় কমেছে জিএসটি বাবদ আয়ও। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, সরকার গত অর্থবর্ষেই রাজকোষ ঘাটতি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে বেঁধে রাখতে পারেনি। ৩.৮ শতাংশের বদলে ৪.৫৯ শতাংশে ঠেকেছে। রাজস্ব আয় যে ভাবে কমছে, তাতে এ বছর ঘাটতি কোথায় পৌঁছবে বোঝা যাচ্ছে না। এমনিতেই অর্থ মন্ত্রক ৪.২ লক্ষ কোটি টাকা বাড়তি ধারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অর্থ মন্ত্রকের বক্তব্য, করোনার জেরে বহু মন্ত্রক নতুন প্রকল্প চালু করতে নীতিগত সায় চাইছে। সে কারণেই রাজকোষ থেকে নতুন খরচে নিষেধাজ্ঞা জারি হল। আগামী বছর পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ আসার পরে ফের ভাবনাচিন্তা হবে। প্রাক্তন মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যনের মতে, অর্থ কমিশনকেই এখন নতুন করে অঙ্ক কষতে হবে।