সময়ে ফ্ল্যাট না-পাওয়ার অভিযোগ

ইউনিটেককে ১৫ কোটি জমার নির্দেশ আদালতের

গুরুগ্রামের সেক্টর-৭০ এলাকায় নতুন ফ্ল্যাটগুলির চাবি ক্রেতাদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল ২০১২ সালে। চুক্তি মেনে সময়-মতো টাকা-পয়সা মিটিয়েই সেগুলি কেনেন তাঁরা। কিন্তু তিন বছর পেরিয়ে গিয়েছে, কথা রাখেনি আবাসন সংস্থা ইউনিটেক।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৬ ০১:২৬
Share:

গুরুগ্রামের সেক্টর-৭০ এলাকায় নতুন ফ্ল্যাটগুলির চাবি ক্রেতাদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল ২০১২ সালে। চুক্তি মেনে সময়-মতো টাকা-পয়সা মিটিয়েই সেগুলি কেনেন তাঁরা। কিন্তু তিন বছর পেরিয়ে গিয়েছে, কথা রাখেনি আবাসন সংস্থা ইউনিটেক। অভিযোগ, ক্রেতারা আজ পর্যন্ত ফ্ল্যাটের দখল পাননি। বুধবার এই সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, যে-সব লগ্নিকারী ফ্ল্যাটগুলি কিনেছিলেন কিন্তু সময়ে চাবি পাননি, তাঁদের টাকা ফেরাতে সেপ্টেম্বরের মধ্যে আসল হিসেবে ১৫ কোটি টাকা জমা দিতে হবে ইউনিটেককে।

Advertisement

এ দিন নির্দেশ শোনাতে গিয়ে বিচারপতি দীপক মিশ্র এবং ইউ ইউ ললিতের বেঞ্চের প্রথম প্রতিক্রিয়াই ছিল, ‘‘আমরা গভীর ভাবে ব্যথিত।’’ আর তার পরেই দিল্লিতে সদর দফতর থাকা ভারতের অন্যতম বৃহৎ আবাসন সংস্থাটির প্রতি তাঁদের নির্দেশ, ৩৮ জন লগ্নিকারীকে টাকা ফিরিয়ে দিতে প্রথম দফায় আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দিষ্ট দফতরে জমা দিতে হবে পাঁচ কোটি। আর বাকি ১০ কোটি সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ। ৪ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা।

উল্লেখ্য, ওই ৩৮ জন লগ্নিকারী প্রথমে সাহায্যের জন্য দ্বারস্থ হন ক্রেতা সুরক্ষা কমিশনের। সেখানে মামলার রায় তাঁদের পক্ষেই যায় ও কমিশন সুদ সমেত ক্রেতাদের টাকা ফিরিয়ে দিতে বলে ইউনিটেককে। যার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় সংস্থাটি। তাদের যুক্তি ছিল, ওই টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার বদলে প্রকল্প শেষ করার কাজে লাগানো ভাল।

Advertisement

তবে এ দিন আসল হিসেবেই ১৫ কোটি টাকা ফেরানোর কথা বলেছে শীর্ষ আদালত। সুদ বাবদও ক্ষতি পুষিয়ে দিতে হবে কি না, তা পরে বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছে বেঞ্চ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement