সচেতনতা বাড়াতে এ বছর ৫০০ টনের মতো সরকারি ভাবে পরীক্ষিত পাট বীজ ৫০% কম দামে চাষিদের মধ্যে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় পাট পর্ষদ। যার ৮০ শতাংশই পাবেন পশ্চিমবঙ্গের চাষিরা। জাতীয় বীজ নিগম এই বীজ তৈরি করে পর্ষদকে দিয়েছে। সূত্রের খবর, গত বছর পর্ষদ ৭০০ টনের মতো পরীক্ষিত বীজ সারা দেশে চাষিদের বিক্রি করেছিল। এ বছর পর্ষদের কোষাগারের টানাটানি-সহ অন্যান্য কিছু কারণে পরীক্ষিত বীজ কম কেনা গিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে বছরে পাট বীজের প্রয়োজন হয় কমপক্ষে ৩,৫০০ টন। সেই বীজ চাষিদের মূলত খোলা বাজার থেকেই কিনতে হয়। বাজারে পরীক্ষিত বীজের বাইরে ভাল-মন্দ মেশানো নিম্নমানের বীজও বিক্রি হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। যে কারণেই চাষিদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে গত তিন-চার বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গ-সহ কয়েকটি রাজ্যে পরীক্ষিত বীজ ভতুর্কিতে বিক্রি করছে পর্ষদ। কর্তাদের দাবি, এর ফলে গত দু’বছরে পশ্চিমবঙ্গে হেক্টর পিছু পাটের উৎপাদন ২২-২৩ কুইন্টাল থেকে বেড়ে ৩০-৩২ কুইন্টালে পৌঁছেছে।