Nabanna

সিএনজি গাড়ির সমস্যা মেটাতে নির্দেশ নবান্নের

নবান্ন গেলের পাইপলাইন প্রকল্প নিয়ে সদিচ্ছার বার্তা দিলেও জেলাস্তরে তা বসানোর জন্য জমির ব্যবহার এবং স্থানীয় প্রশাসনিক ছাড়পত্র পেতে গেল-কে বাধার মুখে পড়তে হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২২ ০৭:৪৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

জগদীশপুর থেকে হলদিয়া পর্যন্ত পাইপলাইন তৈরি হলে সেটির মাধ্যমে রাজ্যে প্রাকৃতিক গ্যাস জোগাবে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গেল। আপাতত দক্ষিণবঙ্গের কিছু অঞ্চলে ট্রাকে করে তাদের জোগানো কোল বেড মিথেন গ্যাস থেকে তৈরি গাড়ির বিকল্প জ্বালানি সিএনজি বিক্রি করছে তিন বণ্টন সংস্থা। কিন্তু শিল্প মহলের অভিযোগ, নিয়ম মেনে পুরনো গাড়িতে সিএনজি-কিট বসিয়ে দু’টি জ্বালানিতেই (পেট্রল ও সিএনজি) চলার উপযোগী করা হলেও, সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরে নথিভুক্তি না হওয়ায় বহু গাড়িকে রাস্তায় চড়া জরিমানা দিতে হচ্ছে। পাইপে গ্যাস সরবরাহের প্রকল্প নিয়ে শুক্রবার নবান্নে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই সমস্যার কথা ওঠে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, পরিবহণ দফতরকে দ্রুত তা সমাধানের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। জেলা প্রশাসনকেও জমি জট কাটাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

রাজ্যে গাড়ি, রান্না ও শিল্পের জ্বালানি হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাস জোগাবে গেল-এর পাইপলাইন। সূত্রের খবর, প্রকল্পের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে এ দিন মুখ্যসচিব হরি কৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র সচিব বি পি গোপালিকা, শিল্প সচিব বন্দনা যাদব, পরিবহণ সচিব বিনোদ কুমার প্রমুখ সব জেলাশাসক, গেল ও তিনটি বণ্টন সংস্থার (বেঙ্গল গ্যাস, ইন্ডিয়ান অয়েল আদানি গ্যাস, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম) প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন। কথা হয় পুরনো গাড়িতে সিএনজি-কিট বসানোর পরেও আইনি বৈধতা সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে। যার জেরে পুরনো পেট্রল গাড়ির সিএনজি-তে রূপান্তরের বাজার ধাক্কা খেয়েছে।

প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরগুলিতে (আরটিও) গাড়িগুলির যথাযথ নথিভুক্তি হচ্ছে না। দ্বিবেদী এ জন্য দ্রুত পদক্ষেপ করতে এবং আরটিওগুলিকে নির্দেশ দিতে বলেন পরিবহণ সচিবকে। খবর, সিএনজি গাড়িতে রাজ্য কিছু ছাড় দিলেও পুরো সুবিধা মিলছে না এই ধরনের সমস্যায়। অথচ পুরনো গাড়িতে কিট বসানোর লাইসেন্স দেয় রাজ্যই!

Advertisement

এ দিকে অভিযোগ, নবান্ন গেলের পাইপলাইন প্রকল্প নিয়ে সদিচ্ছার বার্তা দিলেও জেলাস্তরে তা বসানোর জন্য জমির ব্যবহার এবং স্থানীয় প্রশাসনিক ছাড়পত্র পেতে গেল-কে বাধার মুখে পড়তে হয়। জেলা প্রশাসনগুলিকে এ দিন ফের পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। সূত্রের ইঙ্গিত, মাস দুয়েকে সমস্যা মিটবে। মার্চ-এপ্রিলে পাইপলাইনটি পানাগড় থেকে হুগলির রাজারামবাটি-ব্যান্ডেল হয়ে গঙ্গার নীচ দিয়ে নদীয়ার গয়েশপুর পৌঁছতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement