এই অর্থবর্ষে কেন্দ্র ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা বেঁধেছে ৬.৪ শতাংশে। প্রতীকী ছবি।
বাড়তে থাকা ঋণের বোঝা চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে মোদী সরকারের। মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রকের পরিসংখ্যান জানিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রের মোট দায় পৌঁছেছে ১৪৭.১৯ লক্ষ কোটি টাকায়। তার মধ্যে শুধু ঋণই ৮৯.১%। এ দিকে, আজ অর্থনীতি নিয়ে মোদী সরকারকে ফের তোপ দেগেছে বিরোধী কংগ্রেস। ক্ষুধার সূচক ও মাথাপিছু আয়ের নিরিখে ভারত যে অনেক পিছিয়ে তা মনে করিয়ে তাদের দাবি, বেকারত্ব চড়া, পড়ছে টাকার দর। অথচ তাতেমন না-দিয়ে শুধু পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হওয়ার ঢাক পেটাচ্ছে কেন্দ্র।
১ ফেব্রুয়ারি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন পরের অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করবেন। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, তার আগে ঋণ বৃদ্ধির হিসাবও আশঙ্কার। কেন্দ্রের কর বাবদ আয়ের অর্ধেকের বেশি যে ধারের সুদ মেটাতে যাচ্ছে, এর আগে তা মেনেছেন অর্থ মন্ত্রকের এক কর্তাও।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, করোনার জেরে গত কয়েক বছরে বহু দেশের ঘাড়েই চেপেছে বাড়তি ঋণের বোঝা। ভারতও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে এইঅতিরিক্ত ঋণ দেশের রাজকোষ ঘাটতিকে লক্ষ্যমাত্রায় বেঁধে রাখার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে। এই অর্থবর্ষে কেন্দ্র ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা বেঁধেছে ৬.৪ শতাংশে।
বিভিন্ন দেশকে ঋণ দেওয়া কতটা ঝুঁকির তা বিচারের জন্য সরকারি ঋণকে গুরুত্ব দেয় মূল্যায়ন সংস্থাগুলি। অতিরিক্ত ঋণ নিয়ে ভারতকে সতর্কও করেছে রেটিং সংস্থাগুলি। তাদের মতে, আগামী দিনে দেশের মূল্যায়নে তা প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে ঋণের এই বোঝা কেন্দ্রের পক্ষে অস্বস্তির।
তার উপরে অর্থ মন্ত্রক জানাচ্ছে, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে সুদ ১০০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৫.৯% করেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। এই সময়ে কেন্দ্র ধার মিটিয়েছে ৯২,৩৭১.১৫ কোটি টাকার। ৪,০৬,০০০ কোটি তুলেছে বাজারে ঋণপত্র ছেড়ে। অন্য দিকে, ডলারের সাপেক্ষে টাকার দাম পড়েছে ৩.১১%। বিদেশি মুদ্রা ভান্ডার নেমে হয়েছে ৫৩,২৬৬ কোটি ডলার।