প্রতীকী ছবি।
বহুকাল আগেই কুরিয়ার ব্যবসা চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছিল ডাক বিভাগকে। হালে বাড়তে থাকা নেট বাজার প্রতিযোগিতাকে আরও কঠিন করেছে। পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়তে কিছু জায়গায় ভ্রাম্যমাণ পার্সল ভ্যান চালু করল ডাক বিভাগ। নির্দিষ্ট এলাকায় ঘুরে পার্সল নেবে ভ্যানগুলি। ব্যবসা নিশ্চিত করতে গোড়ায় একসঙ্গে অনেকগুলি নেওয়ার (বাল্ক, যা সাধারণত সংস্থা পাঠায়) পরিকল্পনা ডাক বিভাগের ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কলের (পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম ও আন্দামান-নিকোবর)। তবে ইঙ্গিত, এলাকার মানুষও সুবিধা নিতে পারবেন।
সম্প্রতি বড়বাজার এবং বারাসত অঞ্চলে দু’টি ভ্যান এনেছে ডাক বিভাগ। দিনের নির্দিষ্ট সময়ে সেগুলি ঘুরছে। ডাকঘরে না-গিয়ে সংশ্লিষ্ট নম্বরে ফোন করে বা ডাক বিভাগে যোগোযোগ করে আগাম বুকিং করা যাবে। ভ্যানটি এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় পার্সল সংগ্রহ করবে।
এই সার্কলের পোস্ট মাস্টার জেনারেল (কলকাতা) নীরজ কুমারের বক্তব্য, বাজারের চাহিদা মেনেই এই উদ্যোগ। ই-কমার্স নতুন চাহিদা তৈরি করছে। তা-ই এখানে ব্যবসা বৃদ্ধির সূত্র। বরানগর, দক্ষিণ কলকাতা ও সল্টলেক-নিউটাউনে শীঘ্রই পরিষেবা চালুর লক্ষ্য। পরের ধাপে মুর্শিদাবাদ, সিউড়ি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।
নীরজের দাবি, কোন এলাকায় পরিষেবাটি ব্যবসায়িক ভাব সফল হবে তা স্থির করতেই শুরুতে বাল্ক বুকিংয়ে জোর দিয়েছেন তাঁরা। তাতে নির্দিষ্ট সংখ্যক বুকিং মিলেওছে। এই সব এলাকায় ভ্যানের রুটের মধ্যে সাধারণ গ্রাহকও তাঁর পার্সল বুকিং করতে পারেন। তখনই কাঁচা রসিদ মিলবে। পরে ডাকঘর থেকে পাকা রসিদ গ্রাহককে পৌঁছে দেবে ওই ভ্যানই।