প্রতীকী ছবি
হোয়াটসঅ্যাপে আড্ডা মারা হোক বা ফেসবুকের প্রোফাইল ঘাঁটা কিংবা নিতান্তই অফিসের জরুরি মেল চালাচালি— এই সব কিছুর জন্য এ বার দেশের আকাশে, দেশীয় উড়ানে বসে ওয়াইফাই মারফত নেট দুনিয়ায় ঢুকে পড়ার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইল না। সোমবার এই প্রস্তাবে চূড়ান্ত সিলমোহল দিল বিমান মন্ত্রক।
ভারতীয় বিমান পরিবহণ সূত্রের খবর, যাত্রীদের ওয়াইফাই ব্যবহারের সুবিধা দেওয়ার জন্য বিমানে সেই পরিকাঠামো থাকতে হবে। বসাতে হবে যন্ত্র। এখন যা ভারতের আকাশে চলাচল করা কোনও দেশীয় বিমানে নেই। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের দাবি, মন্ত্রক ছাড়পত্র দেওয়ায় এ বার অনেকেই সেই পরিকাঠামো গড়ার কাজে ঝাঁপাতে পারে। অন্য এক অংশের অবশ্য মত, ভারতের আকাশে এই মুহূর্তে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কম খরচের বিমান সংস্থাগুলি। বিপুল ঋণের বোঝায় জেরবার হয়ে খরচ কমাচ্ছে এয়ার ইন্ডিয়ার মতো সংস্থা। এর মধ্যে, মাঝ আকাশে যাত্রীদের মনোরঞ্জনের জন্য তারা অতিরিক্ত এই ব্যয়ভার বহন করতে রাজি হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের সঙ্গে টাটা সন্সের যৌথ উদ্যোগে তৈরি বিমান সংস্থা বিস্তারা নতুন যে ১০টি এয়ারবাস ৩২১ নিও বিমান কিনবে বলে বরাত দিয়েছে, সেগুলিতে ওয়াইফাইয়ের সুবিধা পেতে পারেন যাত্রীরা। সংস্থাটির নতুন ৭৮৭-৯০০ ড্রিমলাইনার বিমানেও ওই সুবিধা থাকবে বলে জানা গিয়েছে। সোমবার বিমান মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, উড়ানে মুখ্য পাইলট চাইলে যাত্রীদের ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
২০১৮ সালে ইসরোর তৈরি জি-স্যাট ১৪ ব্যবহার করে বহুজাতিক সংস্থা প্যানাসোনিক এই পরিষেবা দিতে শুরু করেছিল। ভারতের টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা ট্রাই তাতে অনুমোদন দেয়। ঠিক হয় মাটি থেকে ৩০০০ মিটার উপরে উঠলেই এই সুবিধা পাবেন বিমানে বসা যাত্রী। তবে দেশীয় উড়ানগুলিকে তখন এই অনুমতি দেওয়া হয়নি। বিদেশি উড়ান সংস্থাগুলির মধ্যে এমিরেটস, লুফৎহানসা এবং ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ় এই সুবিধা নিতে শুরু করে। ফলে, তখন থেকে এই তিন বিদেশি বিমান সংস্থার যাত্রীরা ভারতের আকাশে ওয়াইফাই পরিষেবার সুবিধা পেতে শুরু করেন। এ জন্য বিমান সংস্থাকে কিছু টাকাও দিতে হয় সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে।