টেলিকম টাওয়ার ব্যবসাকে আলাদা শাখা সংস্থায় পরিণত করতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার তরফে নীতিগত সায় পেল বিএসএনএল। একই সঙ্গে ৮০০ মেগাহার্ৎজ-এ সিডিএমএ স্পেকট্রাম ছাড়ার ক্ষতিপূরণ হিসেবে বিএসএনএল এবং এমটিএনএল-কে কেন্দ্র ৬২৭.২০ কোটি টাকা দেবে বলে সরকারি সূত্রে খবর।
এর আগেই আর্থিক সঙ্কটে পড়া রাষ্ট্রায়ত্ত টেলি সংস্থা বিএসএনএল-এর হাল ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। তারই অঙ্গ হিসেবে এ বার তাদের টাওয়ার ব্যবসা আলাদা করে নতুন সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায় তারা। মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর নতুন টাওয়ার সংস্থার বাজার দর স্থির করা এবং মূলধনের বিষয়টি পর্যালোচনা করার জন্য বিভিন্ন মন্ত্রকের প্রতিনিধিদের নিয়ে গোষ্ঠী গড়বে কেন্দ্রীয় টেলিকম দফতর (ডট)। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এর ফলে এক দিকে যেমন অন্যান্য সংস্থাকে টাওয়ার ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে আয় বাড়াতে পারবে বিএসএনএল। তেমনই ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য টাকা জোগাড় করাও সহজ হবে তাদের পক্ষে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সাল থেকে অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে টাওয়ার ভাগাভাগি করলেও, এখনও পর্যন্ত আলাদা সংস্থা হিসেবে তার বাজার দর বা বাজারে তার দখল সম্পর্কে কোনও সিদ্ধান্তেই পৌঁছয়নি সংস্থা। বর্তমানে দেশ জুড়ে বিএসএনএলের ৬৪,৫০০টি টাওয়ার রয়েছে। যার মধ্যে ৫০ হাজারের বেশি টাওয়ার অপটিক্যাল ফাইবার কেবল দ্বারা যুক্ত। সব মিলিয়ে তাদের টাওয়ার ব্যবসার বাজার দর ২০ হাজার কোটি টাকারও বেশি বলেই মনে করছে বিএসএনএল।
এ দিকে, গত স্পেকট্রাম নিলামের জন্য চারটি সার্কেলে নিজেদের হাতে থাকা ৮০০ মেগাহার্ৎজ সিডিএমএ স্পেকট্রাম ছেড়েছিল বিএসএনএল। সে বাবদ ক্ষতিপূরণ হিসেবে তাদের ১৬৯.১৬ কোটি টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছে মন্ত্রিসভা। একই ভাবে এমটিএনএল-ও দিল্লি ও মুম্বই সার্কেলের স্পেকট্রাম ছাড়ে। সে জন্য সংস্থাটিকে ৪৫৮ কোটিরও বেশি দেবে সরকার। প্রসঙ্গত, ২০ বছরের জন্য ওই স্পেকট্রাম বিক্রি করে কেন্দ্রের ঘরে এসেছে ৩,৯৯৭.৬১ কোটি টাকা।