ন্যূনতম আয় প্রকল্প অবাস্তব, আসরে আয়োগ

কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর ঘোষিত গরিবদের ন্যূনতম আয় প্রকল্প নিয়ে প্রচারের মোকাবিলা করতে নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমারকে আসরে নামাল নরেন্দ্র মোদী সরকার।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন 

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:৫৬
Share:

রাজীব কুমার

কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর ঘোষিত গরিবদের ন্যূনতম আয় প্রকল্প নিয়ে প্রচারের মোকাবিলা করতে নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমারকে আসরে নামাল নরেন্দ্র মোদী সরকার। আজ এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজীবের দাবি, এই প্রকল্প কার্যকর করা সম্ভব নয়।

Advertisement

কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে গরিবদের জন্য ন্যূনতম আয় নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাহুল। কিন্তু রাজীবের মতে, এই প্রকল্প কার্যকর করার মতো কোষাগারের জোর ও তথ্য সরকারের নেই। তাঁর কথায়, ‘‘এটা রাজীব গাঁধীর গরিবি হটাও স্লোগানের মতোই অবাস্তব। তাই ক‌ংগ্রেস প্রকল্পের খুঁটিনাটি অস্পষ্ট রেখেছে।’’ প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম অবশ্য জানিয়েছেন, কংগ্রেসের ইস্তাহারেই প্রকল্পের খুঁটিনাটি স্পষ্ট করা হবে।

প্রাক্তন মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যনের সকলের জন্য ন্যূনতম আয়ের ধারণাকেও তিনি সমর্থন করেন না বলে জানান রাজীব। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ভারতের মতো দেশে মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তার জন্য ভর্তুকির তুলনায় কাজে উৎসাহদানের ভর্তুকিই বেশি গ্রহণযোগ্য। চিনের মতো বহু দেশ তাদের তরুণ প্রজন্মকে ভর্তুকি দেওয়ার চেয়ে কাজ করতে উৎসাহিত করে ভাল ফল পেয়েছে।’’

Advertisement

তবে মোদী সরকার ঘোষিত চাষিদের বছরে ৬,০০০ টাকা আর্থিক সাহায্যের প্রকল্পের পক্ষে সওয়াল করেন কুমার। বিরোধীদের অভিযোগ, ওই প্রকল্পে প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু রাজীবের মতে, ‘‘গরিব বা প্রান্তিক কৃষক পরিবারের মাসিক আয় প্রায় ৩,০০০-৪,০০০ টাকা। সে ক্ষেত্রে মাসে বাড়তি ৫০০ টাকা খুব কম নয়। কৃষক সন্তানকে স্কুলে পাঠানো থেকে বড় ভূমিমালিকদের কাছে জল কেনার মতো কাজে লাগাতে পারেন তা।’’

ওই প্রকল্পে গ্রামের গরিব মানুষের বড় অংশকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। রাজীবের বক্তব্য, ‘‘এই যুক্তিও গ্রহণযোগ্য নয়। দেশের কৃষকদের মধ্যে ১৩.৭% অন্যের জমি ভাড়া নিয়ে চাষ করেন। তাঁদের মধ্যেও ৮০% কোনও না কোনও ধরনের জমির মালিক।’’ তাঁর দাবি, এই প্রকল্প থেকে বাদ পড়ছেন শুধু ভূমিহীন মজুরেরা। তাঁরা গ্রামীণ জনসংখ্যার মাত্র ২.৬ শতাংশ। রাজীবের বক্তব্য, ‘‘তবে ওই শ্রেণির জন্য ১০০ দিনের কাজের ব্যবস্থা রয়েছে।’’ যদিও বিরোধীদের প্রশ্ন, ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার কথা বলেছে মোদী সরকারই। তা হলে ৬,০০০ টাকা সাহায্যের প্রয়োজন কী?

তিন রাজ্যে ক্ষমতায় এসে কৃষিঋণ মকুবের ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। রাজীবের মতে, ‘‘এটা সঙ্কটের সুরাহা নয়। কৃষি ক্ষেত্রের আধুনিকীকরণ হলে, তবেই সমস্যা মেটা সম্ভব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement