আশিসবাবুর অবশ্য বক্তব্য, ‘‘সংযুক্তির খবর লগ্নিকারীদের মানসিক ভাবে শক্তিশালী করেছে। বড় ধরনের কিছু না ঘটলে বাজার চাঙ্গা থাকবে বলেই মনে হয়। তবে উঁচু বাজারে মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতাও বহাল থাকবে।’’
ফাইল চিত্র।
এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক এবং এইচডিএফসির সংযুক্তির খবরে সোমবার লেনদেনের শুরু থেকেই মাথা তুলল ভারতীয় শেয়ার বাজার। সেনসেক্স থামল ৬০ হাজারের উপরে। নিফ্টি পার করল ১৮ হাজার। সংশ্লিষ্ট দুই সংস্থার শেয়ার দর প্রায় ১০% বৃদ্ধির পাশাপাশি, সামগ্রিক ভাবেই ব্যাঙ্কিং, তথ্যপ্রযুক্তি, ভোগ্যপণ্য সংস্থাগুলির শেয়ার দর বেড়েছে।
এ দিন ১৩৩৫.০৫ পয়েন্ট বেড়ে সেনসেক্স ৬০,৬১১.৭৪ অঙ্কে পৌঁছেছে। নিফ্টি ৩৮২.৯৫ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ১৮,০৫৩.৪০। বেড়েছে ছোট-মাঝারি শেয়ার সূচক। বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলিও ভারতে ১১৫২.২১ কোটি টাকা ঢেলেছে। বিএসই-র লগ্নিকারীরা এক দিনে ফিরে পেয়েছেন ৪.৫ লক্ষ কোটির শেয়ার সম্পদ। ডলারের নিরিখে টাকার দরও ছিল ঊর্ধ্বমুখী। ১ ডলারের দাম ২১ পয়সা কমে হয়েছে ৭৫.৫৩ টাকা।
দেকো সিকিউরিটিজ়ের ডিরেক্টর আশিস নন্দীর বক্তব্য, ‘‘দুই এইচডিএফসির সংযুক্তি তো আছেই। সেই সঙ্গে অশোধিত তেলের দাম ১০৫ ডলারে নেমে আসা, ইউক্রেনের রাজধানী কিভ থেকে রাশিয়ার সেনা সরাতে শুরু করার খবরও জ্বালানি জুগিয়েছে বাজারে।’’ তবে এই উত্থান বাজার ধরে রাখতে পারবে কি? বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, সংযুক্তির খবর সূচকে তাৎক্ষণিক গতি এনেছে ঠিকই, তবে তার স্থায়িত্ব অনেকটাই নির্ভর করবে অর্থনীতির নানা শর্তের উপরে। বিশেষত অশোধিত তেলের দর, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ঋণনীতি ও মূল্যবৃদ্ধির দিকে চোখ থাকবে বাজারের। আশিসবাবুর অবশ্য বক্তব্য, ‘‘সংযুক্তির খবর লগ্নিকারীদের মানসিক ভাবে শক্তিশালী করেছে। বড় ধরনের কিছু না ঘটলে বাজার চাঙ্গা থাকবে বলেই মনে হয়। তবে উঁচু বাজারে মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতাও বহাল থাকবে।’’