—প্রতীকী চিত্র।
বহু কর্মী প্রভিডেন্ট ফান্ড সংক্রান্ত সমস্যা মেটাতে গিয়ে হয়রান হওয়ার অভিযোগ তোলেন। তাঁদের দাবি, পিএফ দফতরে হন্যে হয়ে ঘুরতে হয় কোন বিভাগ কোন সমস্যা মেটাতে সাহায্য করবে, তার হদিশ পেতে। ফলে সমাধানও দীর্ঘ দিন ধরে ঝুলে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে বছরের পর বছর পেরিয়ে যায়। এই পরিস্থিতি বদলাতেই সম্প্রতি দেশ জুড়ে পিএফ সদস্যদের দরজায় পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছেন এমপ্লয়িজ় প্রভিডেন্ট ফান্ড কর্তৃপক্ষ (ইপিএফও)। সোমবার তাঁদের বার্তা, তাতে এ বার আরও জোর দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কর্মী ও নিয়োগকারীদের নিয়ে নিয়মিত বৈঠক হবে। বিশেষত জেলা স্তরে।
কর্মী পিএফ সংস্থায় পশ্চিমবঙ্গের (আন্দামান-নিকোবর ও সিকিম-সহ) দায়িত্বে থাকা অ্যাডিশনাল সেন্ট্রাল প্রভিডেন্ট ফান্ড কমিশনার রাজীব ভট্টাচার্য জানান, “বহু সদস্যের পক্ষে পিএফ দফতরে গিয়ে দরবার করা সম্ভব হয় না। তাই আমরাই তাঁদের দুয়ারে গিয়ে সে সবের সমাধানে উদ্যোগী হয়েছি। এ জন্য বিভিন্ন সংস্থায় পিএফের আওতাভুক্ত কর্মী-সদস্য ও নিয়োগকারীদের নিয়ে শিবির করছি। তাঁদের নিয়ে প্রতি জেলায় মাসে একটি করে বৈঠকের পরিকল্পনা করা হয়েছে।’’ রাজ্যে কলকাতা-সহ নানা জেলায় বছরের প্রথম বৈঠকটি এ দিন হয়েছে।
পিএফের আঞ্চলিক কমিটির সদস্য ও ইউটিইউসির সাধারণ সম্পাদক অশোক ঘোষের অবশ্য অভিযোগ, পরিষেবা কার্যকরী হলেও তার সুযোগ নিতে পারছেন হাতে গোনা কয়েক জন। আরও বেশি সদস্যের কাছে সুবিধা পৌঁছতে ইউনিয়নগুলিকে শামিল করা করা জরুরি। যাতে আরও বেশি মানুষ নির্দ্বিধায় পিএফের শিবিরে সমস্যা মেটানোর সুযোগ নিতে পারেন।