প্রতীকী ছবি।
মুদ্রাস্ফীতির কথা মাথায় রেখে ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেমকে (এনপিএস) আরও জনপ্রিয় করার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র। গ্রাহকেরা যাতে বাধ্যতামূলক ভাবে তাঁদের মোট লগ্নির ৪০ শতাংশ বার্ষিকী খাতে জমা করতে পারেন, সেই বিষয়ে চলছে চিন্তাভাবনা। নরেন্দ্র মোদী সরকার শেষ পর্যন্ত এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলে বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৮ মার্চ মুম্বইয়ের ‘গ্লোবাল কনফারেন্স অফ অ্যাকুয়ারিজ়’-এর অনুষ্ঠানে যোগ দেন এনপিএসের নিয়ন্ত্রণকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা ‘পেনশন ফান্ড রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’ বা পিএফআরডিএর চেয়ারম্যান দীপক মোহান্তি। সেখানেই এই প্রকল্পটির চ্যালেঞ্জের কথা সরাসরি তুলে ধরেন তিনি।
অনুষ্ঠানে মোহান্তি বলেন, ‘‘এই প্রকল্পের সবচেয়ে উদ্বেগের জায়গাটি হল অবসরকালীন সময়ে আকর্ষণীয় বার্ষিকী হার। ফলে অনেকেই ওই সময়ে এনপিএস ছেড়ে বেরিয়ে যান। আর তাই এই নিয়ম বদলানোর প্রয়োজন রয়েছে। প্রস্থানের সময়ে এনপিএস গ্রাহককে বাধ্যতামূলক ভাবে তাঁর কর্পাসের কমপক্ষে ৪০ শতাংশ বার্ষিকী খাতে লগ্নি করতে হবে।’’ বিষয়টি নিয়ে পিএফআরডিএতে আলোচনা চলছে বলে স্পষ্ট করেছেন তিনি।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, এনপিএসে অবসরপ্রাপ্ত গ্রাহক সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় এর অ্যানুইটি বা বার্ষিকী খাতে প্রচুর সুযোগ তৈরি হয়েছে। পিএফআরডিএর চেয়ারম্যানের কথায়, ‘‘মুদ্রাস্ফীতির কাঁটা থেকে বাঁচতে যুক্তিসঙ্গত ভাবে এনপিএসে লগ্নি করতে হবে। বার্ষিকী খাতে বিনিয়োগের উপর রিটার্ন সব সময় পরিবর্তনশীল। ফলে এখান থেকে আর্থিক লাভ বেশি পরিমাণে করতে পারবেন গ্রাহক।’’
চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে ইউনিফাইড পেনশন স্কিম বা ইউপিএসে লগ্নির সুযোগ পাবেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। কিন্তু তার জন্য এনপিএসে ব্যাপক প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন মোহান্তি। কারণ, এনপিএসে সরকারের পাশাপাশি বিনিয়োগ করতে পারেন বেসরকারি সংস্থার কর্মীরাও।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: ন্যাশনাল পেনশন স্কিমে (এনপিএস) লগ্নি বাজারগত ঝুঁকিসাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার ডট কম কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)