অনেক সময় অফিসে হত্যে দিয়েও দেখা মেলে না। অথচ নাগাল পাওয়া গেল টুইটারে। আর সেই ‘দেখা হতে’ই আর্জি, ‘‘আর কিছু চাই না। শুধু একটু ভাল ব্যবহার চাই। আর হাসিমুখ।’’
টুইটারে খাতা খোলার দিনে এই আবেদন ভেসে এল বিএসএনএলের কাছে। সংস্থা গ্রাহকদের কাছে জানতে চেয়েছিল তাঁদের অভাব-অভিযোগ, সুবিধা-অসুবিধা। কিন্তু প্রথমেই গ্রাহকের ‘আব্দার’ ওই হাসিমুখ।
শুধু বিএসএনএল নয়, সাধারণত সরকারি অফিস, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা কিংবা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক— সর্বত্র কর্তাদের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ঘণ্টার পরে ঘণ্টা। যদি বা দেখা মেলে, তবু সেই গোমড়া মুখ। অনেক সময়ই প্রশ্নের ঠিকঠাক জবাব মেলে না। এ দিন তাই বিএসএনএলের কলকাতা শাখার (ক্যালকাটা টেলিফোন্স) শীর্ষ কর্তাকে নাগাল পেয়েই আর্জি, একটু অন্তত হেসে কথা বলুন কর্মীরা।
ক্রেতার মন বুঝতে বেসরকারি সংস্থা যত তৎপর, সরকার বা সরকারি সংস্থা এখনও ততটা নয়। তারই মধ্যে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন সুরেশ প্রভু টুইটারে যাত্রীদের কথা শোনার ব্যবস্থা চালু করেন। প্রধানমন্ত্রীর দফতর এ বিষয়ে দড়। শুক্রবার বিএসএনএলের সিএমডি-র পরে টুইটারে গ্রাহকদের মুখোমুখি হয়ে কর্মীদের হাসিমুখের দাবির কথা শুনলেন ক্যাল টেলের সিজিএম শীতলা প্রসাদ ত্রিপাঠিও।
এই আলাপে কেউ পরিষেবার মান নিয়ে অভিযোগ করেছেন। কেউ জানতে চেয়েছেন, কবে চালু হবে ৪জি? তেমনই আবার সংস্থার সদর দফতর টেলিফোন ভবনে সিম বদলের সময় কম মেলে, এই অভিযোগ শুনে সিজিএম জানান, সমস্ত গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রই সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চালু থাকার কথা। জবাবে সেই গ্রাহক বলেন, ‘‘অতটা সময় না দিলেও চলবে। কিন্তু একটু হেসে কথা বলুন কর্মীরা।’’ আর এক জনও বলেছেন কর্মীদের খারাপ ব্যবহারের কথা। সিজিএমের আশ্বাস, তা ভাল করতে নজর দেওয়া হবে।
কারও অভিযোগ, নেটের শ্লথ গতি। কেউ চান টাওয়ার বসানোর জমি দিতে। সংস্থার আশ্বাস, সরেজমিনে সব খতিয়ে দেখা হবে।
ত্রিপাঠির মতে, এই আলাপে তাঁরাও উপকৃত হবেন। উপর থেকে নির্দেশ নীচে পৌঁছবে দ্রুত। কিন্তু ক’জন আর টুইটারে স্বচ্ছন্দ? ত্রিপাঠীর জবাব, ‘‘এই তো সবে শুরু।’’