দেশে আগামী দিনে বৈদ্যুতিক গাড়ি চালানোয় জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। মন্ত্রীদের অনেকেই ২০৩০ সালের মধ্যে রাস্তায় শুধু বৈদ্যুতিক গাড়ির চাকা গড়ানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন। এর সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি ও গবেষণার জন্য তিন বছরে আরও ৫০০ কোটি টাকা লগ্নি করবে বলে জানাল মহীন্দ্রা গোষ্ঠী। মহারাষ্ট্রের চাকন ও বেঙ্গালুরুতে ধাপে ধাপে এই পুঁজি ঢালবে তারা।
পূর্বতন ‘রেভা’ সংস্থা অধিগ্রহণ করে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবসায় পা রেখেছিল মহীন্দ্রা গোষ্ঠী। মহীন্দ্রা ইলেকট্রিক এই ব্যবসার দায়িত্বে। সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতে সংস্থার কারখানা সম্প্রসারণ ও ‘টেকনোলজি হাব’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের ফাঁকে মহীন্দ্রা অ্যান্ড মহীন্দ্রার এমডি পবন গোয়েন্কা জানান, এখনও পর্যন্ত এতে ৫০০ কোটি টাকা লগ্নি করেছেন তাঁরা। আরও ৫০০ কোটি করবেন।
বিনিয়োগের বিশদ ব্যাখ্যা না দিলেও তিনি জানান, বেঙ্গালুরুর কারখানায় ব্যাটারি, অন্য যন্ত্রাংশ ও কম ভোল্টেজের (মূলত তিন চাকার অটো ও বৈদ্যুতিক রিকশ) গাড়ি তৈরি হবে। বড় বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি হবে চাকনে মহীন্দ্রার কারখানায়। মহীন্দ্রা ইলেকট্রিকের সিইও মহেশবাবু জানান, বেঙ্গালুরুতেই তৈরি হবে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা কেন্দ্র।
পুরোদস্তুর বৈদ্যুতিক গাড়ি আনার জন্য মন্ত্রীদের অনেকে ২০৩০ সালের কথা বলায় গাড়ি শিল্পের একাংশ অবশ্য তীব্র আপত্তি তুলেছিল। পরে ভারী শিল্পমন্ত্রী অনন্ত গীতে সময়সীমা বাঁধার কথা অস্বীকার করে জানান, যতটা সম্ভব বৈদ্যুতিক গাড়ি চালানোর চেষ্টাই করতে হবে।
মহীন্দ্রা কর্তাদের দাবি, তাঁরা বহু আগেই সেই পথে পা বাড়িয়েছেন। লগ্নির কৌশল তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
তবে ব্যাটারির দাম বেশি হওয়ায় প্রথাগত গাড়ির চেয়ে সেটির বৈদ্যুতিক মডেল দামি। ফলে ব্যক্তিগত ব্যবহারে এর চাহিদা এখনও হাতে গোনা। কেন্দ্রও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেই এই গাড়ির ব্যবহার বাড়াতে চাইছে। কারণ, সেগুলি বেশি চলে। আর বৈদ্যুতিক গাড়ি চালানোর খরচ প্রথাগত গাড়ির চেয়ে অনেক কম হওয়ায় এই গাড়ি বেশি চললে খরচ বাঁচবে।