টুইটার হাতে নেওয়ার পরে নতুন কর্ণধার ইলন মাস্ক স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার রক্ষার বার্তা দিলেও, ভারতের নেটিজেনরা দ্বিধা বিভক্ত। মাস্ক বলেছেন, ‘‘পাখি মুক্ত’’। তবে সত্যিই সংস্থার পথচলা কতটা মুক্ত হবে, সেই চর্চা তুঙ্গে। একাংশের আশা, মত প্রকাশের অধিকার প্রসারিত হবে। অন্য অংশ সন্দিহান। চর্চায় উঠে আসছে এ দেশের সরকারের সঙ্গে মাস্কের নানা বিষয়ে মতপার্থক্যের ঘটনাও। কেন্দ্রের অবশ্য আশা, নতুন কর্ণধারের নেতৃত্বে ভারতে আইন মেনেই চলবে টুইটার।
টুইটারে আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে মাস্ক। নিষেধাজ্ঞা বসানোর নীতিকেই খারিজ করেছেন তিনি। ফলে একাংশের আশা, এ বার সব নিষেধাজ্ঞা উঠবে। তবে প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় ঝাঁ, লেখিকা স্বাতী চতুর্বেদীর মতো একাংশ সতর্ক করছেন। মাস্কের তুলনা টানছেন ট্রাম্পের সঙ্গেই। বিশেষত টুইটার কিনেই শীর্ষ কর্তাদের ছেঁটে ফেলাকে ভাল চোখে দেখছেন না তাঁরা। অন্য দিকে ‘শহুরে নকশালরা চিন্তিত’ বলেকটাক্ষ করে ছাঁটাইকে সমর্থন জানান চলচ্চিত্রকার অশোক পণ্ডিত, বিবেক অগ্নিহোত্রীরা। তবে মাস্কের দাবি, নতুন কনটেন্ট মডারেশন কাউন্সিলের পুনর্বিবেচনার আগে নিষেধাজ্ঞা থাকা অ্যাকাউন্ট চালু হবে না।
মাস্ককে স্বাগত জানিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, তাঁর আশা টুইটার আর কেন্দ্রের পক্ষপাতিত্ব করবে না। রাহুলের অভিযোগ, তাঁর টুইটার হ্যান্ডলকে প্রভাবিত করা হয়েছে। ২০২১-এর অগস্ট থেকে গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নতুন ফলোয়ারের সংখ্যা চেপে দেওয়া হয়েছে। মাস্ককে স্বাগত জানান বিজেপি ঘনিষ্ঠ অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতও। ঘৃণা-ভাষণেরঅভিযোগে গত বছর থেকে যাঁর টুইটার হ্যান্ডলটি বন্ধ। তাঁর ভক্তদের আশা, এ বার সেটি খুলবে।
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর বলেন, ‘‘কে কীসের কর্ণধার,তাতে কেন্দ্রের কী?’’ এর আগে মাস্ক টেসলার বৈদ্যুতিক গাড়ি ভারতে তৈরির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ছাঁটার শর্ত রেখেছিলেন। যা মোদী সরকার খারিজ করে। মাস্কের স্যাটেলাইট সংস্থা স্টারলিঙ্ক লাইসেন্স ছাড়া বরাত নিতে চাইলে, তাতেও আপত্তি তোলে কেন্দ্র।
সংবাদ সংস্থা