Economic Contraction

গ্রাম পোষাতে পারবে না শহরের ক্ষতি

ইন্ডিয়া রেটিংসের মতে, গ্রামে বাইক, ট্রাক্টরের বিক্রি কিছুটা বেড়েছে ঠিকই। কিন্তু আসল বৃদ্ধি হয়েছে স্বল্পমেয়াদি ভোগ্যপণ্যে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২০ ০৬:১২
Share:

প্রতীকী ছবি।

করোনার জেরে বিশেষত শহরের আর্থিক কর্মকাণ্ড প্রায় পুরো স্তব্ধ হলেও, আশার আলো দেখাচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতি। অতিবৃষ্টির কারণে কিছুটা ক্ষতি সত্ত্বেও, চলতি অর্থবর্ষে কৃষি ক্ষেত্র ৩.৫% বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। যা বৃদ্ধিতে গতি আনতে সাহায্য করবে ঠিকই। কিন্তু শুধুমাত্র গ্রামের চাহিদা দিয়ে শহরের বিক্রিবাটার ধাক্কা মেটানো যাবে না বলে মনে করে মূল্যায়ন সংস্থা ইন্ডিয়া রেটিংস। তাদের মতে, সব মিলিয়ে লকডাউনের জেরে প্রথম ত্রৈমাসিকে অর্থনীতি সঙ্কুচিত হবে ১৭.০৩%।

Advertisement

এর আগে ২০২০-২১ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে সঙ্কোচনের হার ১৬.৫ শতাংশে দাঁড়াতে পারে বলে জানিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্কের গবেষণা শাখা ইকোর্যাপ। আজ রয়টার্সের অর্থনীতিবিদদের সমীক্ষাও বলছে, তা কমতে পারে ১৮.৩%। যা আগের ২০% পূর্বাভাসের চেয়ে ভাল হলেও, ইতিহাসে সব চেয়ে কম। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবর্ষে অর্থনীতির সঙ্কোচন ৮.১% হতে পারে বলে ধারণা তাঁদের।

ইন্ডিয়া রেটিংসের মতে, গ্রামে বাইক, ট্রাক্টরের বিক্রি কিছুটা বেড়েছে ঠিকই। কিন্তু আসল বৃদ্ধি হয়েছে স্বল্পমেয়াদি ভোগ্যপণ্যে। সব মিলিয়ে দেশের জিডিপিতে কৃষি ক্ষেত্রের অবদান প্রায় ১৭%। তা মেনে নিয়ে বলাই যায় যে, গ্রামে চাহিদার হাত ধরে বৃদ্ধিতে কিছুটা গতি আসবে। কিন্তু তা শহরের চাহিদার পরিপূরক নয়। তার উপরে ভাল বৃষ্টির হাত ধরে বেশি ফসল হওয়ার অর্থ, বাজারে কৃষিপণ্যের দাম কমা। সে ক্ষেত্রে আবার গ্রামে আয়ে প্রভাব পড়তে পারে। যা চাহিদাকে ধাক্কা দিতে পারে বলেও সতর্ক করেছে তারা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement