প্রতীকী ছবি
অর্থনীতির ঝিমুনিতে যে বেকারত্ব মাথা তুলেছিল, তা-ই আড়াই মাসের লকডাউনে বেড়েছিল এক লাফে। অর্থনীতিবিদ থেকে শিল্প প্রতিনিধি, সকলেই বলেছিলেন, ঘরবন্দি দশা থেকে অর্থনীতির মুক্তি ঘটলে, ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। সোমবার উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআইই-র সমীক্ষা রিপোর্টে স্পষ্ট, সেই পরামর্শ ভিত্তিহীন নয়। ১৪ জুন শেষ হওয়া সপ্তাহে দেশে বেকারত্বের হার আগের সপ্তাহের তুলনায় অনেকটাই কমে হয়েছে ১১.৬৩%। তা কমেছে গ্রাম ও শহর,
দু’জায়গাতেই। যার অর্থ, জুনে কাজ ফিরে পেয়েছেন অনেকে। যদিও একাংশের দাবি, আগের থেকে কমলেও, বেকারত্ব এখনও চড়া-ই।
গত ২২ মার্চ জনতা কার্ফুর দিনে দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৮.৪১%। লকডাউন চালু হওয়ার পরে তা এক সময় ছোঁয় ২৭.১১%। জুনের গোড়া থেকে লকডাউন শিথিল হয়ে ধীরে ধীরে আর্থিক কর্মকাণ্ড চালু হওয়ায়, সেই হার গত দু’সপ্তাহে কমেছে।
সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য, কাজের বাজারের প্রায় ৯০% অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মী। যাঁদের রুজিরুটি থাকা না-থাকা নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বা দফতরের কাজ চালু থাকার উপরে। কাজ এখনও যাচ্ছে। শুধু অসংগঠিত নয়, সংগঠিত ক্ষেত্রে কান পাতলেও তা স্পষ্ট হচ্ছে রোজ। তবে ‘আনলক’ পর্বে সেই প্রবণতা হয়তো কিছুটা কমেছে।
তবে অনেকে বলছেন, কাজের অবস্থা লকডাউনের আগেও ভাল ছিল না। সরকারি হিসেবেই স্বীকার করা হয়, ২০১৭-১৮ সালে দেশে বেকারত্ব ছিল সাড়ে চার দশকের সর্বোচ্চ। কিন্তু সিএমআইই-র রিপোর্ট মাফিক, লকডাউনে তা এমন দাঁড়িয়েছিল যে, এখনকার হারকেও বামন দেখাচ্ছে। সরকারি সূত্র বলছে, ফের লকডাউন হলে অর্থনীতিকে ছন্দে ফেরানো কঠিন হবে। একাংশের দাবি, এ কথা সত্যি হতে পারে কাজের বাজারের ক্ষেত্রেও।
আরও পড়ুন: বেজিংয়ে ফের সংক্রমণ, আতঙ্কে চিন