অবশেষে রাশিয়ার সরকারি তেল সংস্থা রোজনেফ্টের কাছে এসার অয়েলের মালিকানা বিক্রির প্রস্তাবে সায় দিল সব ঋণদাতা। আর এর সঙ্গেই খুলে গেল ৮৬,০০০ কোটি টাকা বিদেশি লগ্নির দরজা। যা এখনও পর্যন্ত এ দেশে আসা বৃহত্তম প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ।
এসার গোষ্ঠীর বিভিন্ন ঋণদাতা ২৮টি ব্যাঙ্কের মধ্যে বেশ কয়েকটি এবং জীবনবিমা নিগম (যাদের কাছে এসার পাওয়ারের বকেয়া ঋণ প্রায় ১,২০০ কোটি টাকা) এত দিন এই সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেয়নি। ফলে আট মাস আগে চুক্তি হলেও, বিক্রির প্রক্রিয়া শেষ করতে পারছিল না এসার অয়েল।
শুক্রবার সংস্থা জানিয়েছে, স্টেট ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, জীবনবিমা নিগম-সহ ২৩টি ঋণদাতা সংস্থা এ দিন বৈঠকে বসেছিল। তার পরেই বিক্রিতে সায় দেয় তারা। সংস্থা সূত্রের খবর, এসার অয়েল জীবনবিমা নিগমকে ৮৫০ কোটি টাকা-সহ বিভিন্ন ঋণদাতার ২৬,০০০ কোটি টাকার ধারের কিছুটা মেটাতে রাজি হওয়ার পরেই অনুমোদন মিলেছে। আগামী ১০ জুলাইয়ের মধ্যে বিক্রি সম্পূর্ণ হবে বলে আশা করছে সংস্থা।
উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে গোয়ায় ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির অনুষ্ঠানের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের উপস্থিতিতে এসার অয়েলের মালিকানা কেনার কথা ঘোষণা করেছিল রোজনেফ্ট। প্রাথমিক চুক্তি অনুসারে, ৪৯% অংশীদারি কেনার কথা রোজনেফ্টের শাখা পেট্রোল কমপ্লেক্সের। আর ৪৯% শেয়ার হাতে নেবে পণ্য বাজারে লেনদেনকারী নেদারল্যান্ডসের সংস্থা ট্রাফিগুরা এবং রাশিয়ার লগ্নি তহবিল ইউসিপি-র কনসোর্টিয়াম কেসানি এন্টারপ্রাইজেস কোম্পানি।
এই লেনদেনের জন্য ট্রাফিগুরাকে অর্থ জোগাবে রাশিয়ার ভিটিবি ব্যাঙ্ক। সংস্থাগুলি ঢালবে নগদ ৭২,৮০০ কোটি টাকা। আরও ১৩,৩০০ কোটি টাকায় গুজরাতে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বেসরকারি তেল সংস্থাটির ভাদিনার বন্দর প্রকল্পও কিনার কথা তাদের। সব মিলিয়ে লগ্নি ৮৬,১০০ কোটি টাকা (১,২৯০ কোটি ডলার)।
চুক্তির সময় এসার অয়েল জানিয়েছিল, অংশীদারি বিক্রি করে হাতে আসা অর্থের বেশিরভাগটাই ঋণ শোধে ব্যবহার করা হবে।