বাগডোগরা বিমানবন্দর। ফাইল চিত্র।
বাগডোগরা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় জমি চলতি বছর শেষ হওয়ার মধ্যেই হস্তান্তর হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করলেন এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (এআইআই) কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার বিকেলে বিমানবন্দরের নতুন পার্কিং ব্যবস্থার শুরু হচ্ছে বলে ঘোষণার পরেই জমি সংক্রান্ত বিষয়টি জানিয়েছেন বিমানবন্দর অধিকর্তা সুব্রমণী পি। তিনি বলেন, ‘‘প্রস্তাবিত জমির যৌথ সমীক্ষা হয়ে গিয়েছে। গত সপ্তাহেই দার্জিলিঙের জেলাশাসকের সঙ্গে কথা হয়েছে। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আমাদের মন্ত্রকের আলোচনা চলছে। আমরা আশাবাদী আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যে জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।’’
তিনি জানান, জমির ক্ষতিপূরণের জন্য দেশের মধ্যে প্রথমবার এএআই বোর্ড ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ তৈরি রেখেছে। রাজ্য সরকারের সহযোগিতা তাঁরা পাচ্ছেন।
এএআই সূত্রের খবর, বাগডোগরা বিমানবন্দরের যাত্রী সংখ্যা এ বছর মার্চে ২৯ লক্ষ ছুঁয়েছে। ৩৭ জোড়া বিমান ওঠানামা করছে। দেশের ১০৮টি বিমানবন্দরের মধ্যে লাভজনক বিমানবন্দর হিসেবে বাগডোগরা ২০ নম্বরে উঠে এসেছে। কিন্তু জমির অভাবে গত এক দশক থেকে নতুন টার্মিনাল ভবন তৈরি করা যাচ্ছিল না। পরিষেবা নিয়ে ভোগান্তি চলছে যাত্রীদের। শেষে, রাজ্য ও কেন্দ্রের আলোচনায় লাগোয়া একটি চা বাগান এলাকা মিলিয়ে ১০৫ একর জমি নিচ্ছে এএআই।
বিমানবন্দরে নতুন পার্কিং ব্যবস্থার চালু হবে ২ সেপ্টেম্বর থেকে। এতদিন বিমানবন্দরে যাত্রীদের নামিয়ে গাড়ি বার করতে ৫ মিনিটের বেশি সময় হলেই ঘণ্টার হিসাবে চালককে ৫৫ টাকা করে দিতে হত। ম্যানুয়াল ঘড়ি এবং পার্কিং টিকিটে হাতে লেখা সময় নিয়ে প্রায়ই চালকদের সঙ্গে পার্কিং কর্মীদের গোলমাল হত। নতুন ব্যবস্থায় যাত্রীদের টার্মিনালের সামনে গাড়ি থেকে নামার জন্য সময়সীমা ৩-৪ মিনিট দেওয়া হবে। তার পরে হলে আধ ঘণ্টার জন্য গাড়ি, টেম্পো, এসইউভি, মিনি বাসের জন্য আধঘন্টায় ২০ টাকা নেওয়া হবে। বড় বাস, ট্রাকের জন্য ৩০ টাকা। আধ ঘণ্টার পরে দুই ঘণ্টার জন্য গাড়ির মডেলের হিসেবে ৫৫-৬০ টাকা করে নেওয়া হবে। সরকারি গাড়ি, সিআইএসএফ এবং এএআই-র গাড়ির জন্য কোনও ফি নেই। বিমানবন্দরের কর্মীদের বাইকের জন্য মাসে ২৫০ টাকা এবং গাড়ির জন্য ৫০০ মাসিক ফি ধার্য থাকছে। ই-টেন্ডারের মাধ্যমে কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থা পুরো পার্কিং ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করবে।
বিমানবন্দরের অধিকর্তা জানান, ডিজিটাল টাইমার দিয়ে সময় নিয়ন্ত্রণ হবে। বেসরকারি সংস্থার তরফে পার্কিং এলাকায় একাধিক ট্রাফিক ওয়ার্ডেন এবং মার্শালরা থাকবেন। তাঁরাই লেন, পার্কিং ম্যানেজমেন্ট সামলাবেন। প্রত্যেকের হাতে ম্যানপ্যাক এবং পোশাকে বডি ক্যামেরা থাকছে। গোটা পার্কিং এলাকায় নতুন করে সিসিটিভি বসানো হয়েছে। এ ছাড়া, পার্কিং এলাকায় যাত্রী এবং প্রি-পেডে নথিভুক্ত গাড়ি ছাড়া বাইরের গাড়ি সরাতে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটকে বলা হয়েছে।