চলছে দেওয়ালির কেনাকাটা। ছবি: এএফপি
মন্দা কাটিয়ে ধীরে ধীরে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছে ভারতের বাজার। ব্যবসায়িক সংগঠন ‘কনফেডারেশন অব অল ট্রেডার্স’-এর তরফে বলা হয়েছে, দেওয়ালির সময় লাভের মুখ দেখেছে ভারতের বাণিজ্যক্ষেত্রগুলি। এই সময়ে প্রায় ৭২ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। প্রায় ৭ কোটি ব্যবসায়ী এবং ৪০ হাজার বাণিজ্য সংগঠন বলেছে, এই বৃদ্ধির পরিমাণ ১০.৮ শতাংশ। যা ছোট বাণিজ্য ক্ষেত্রগুলির কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে।
দেশের প্রায় ২০টি শহর থেকে কেনাবেচার তথ্য জোগাড় করে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। সেই শহরগুলির তালিকায় রয়েছে লখনউ, নাগপুর, আমদাবাদ, জম্মু এবং জয়পুর০সহ একাধিক বাণিজ্যকেন্দ্র। এর পাশাপাশিই রিপোর্টে তথ্য দিয়ে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা-সহ একাধিক রাজ্যে বাজি নিষিদ্ধ হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন অনেকে। সারা দেশে বাজি ব্যবসা বন্ধ হওয়ায় প্রায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু তার বদলে বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি, বাড়ি সাজানোর জিনিস, উপহার, মিষ্টি, জামাকাপড়, জুতো কেনার দিকে মানুষ ঝুঁকেছেন বেশি। হাতে তৈরি প্রদীপ, মোমবাতির বিক্রিও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য ভাবে। এত কিছুর পরেও অবশ্য বাজারে মন্দা রোখার কোনও সুযোগ নেই। দু’মাসের মধ্যে ভারত নিরবচ্ছিন্ন মন্দার মধ্যে প্রবেশ করতে চলেছে। ১৯৪৭ সালের পর থেকে এমন ঘটনা আর ঘটেনি। বিক্রি সামান্য বৃদ্ধি পাওয়ায় মন্দার হার ২৩.৯ শতাংশ থেকে ৮.৬ শতাংশ ছুঁয়েছে। এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকের থেকে এই সামান্য উন্নতি নিশ্চিত ভাবে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে জনতাকে।
আরও পডুন: বিহারে বিজেপির দুই উপমুখ্যমন্ত্রী? নীতীশের শপথের আগে জোর জল্পনা
আরও পডুন: এক লাফে অনেকটা কমল দৈনিক সংক্রমণ, ২৪ ঘণ্টায় সক্রিয় রোগী কমল ১৩৭৩৮