ইতিমধ্যেই জনপ্রিয় ইউটিএস অ্যাপ। প্রতীকী চিত্র
রাজ্যে ৩১ অক্টোবর থেকে লোকাল ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই মতো রবিবার থেকেই স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে লোকাল ট্রেনের চলাচল। পূর্ব রেলের পক্ষে জানানো হয়েছে দ্রুত টাইম টেবল মেনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়ে যাবে। তার আগে রবিবার চালু হয়ে গেল রেলের অসংরক্ষিত টিকিট কাটার অ্যাপ ইউটিএস।
লকডাউনের সময়ে যে হেতু টিকিট কাটার উপরে নিয়ন্ত্রণ ছিল তাই এই অ্যাপ ব্যবহার করা যায়নি। করোনাকালে টিকিট কাটার জন্য লাইন দেওয়ার অভ্যাস ছেড়ে দেওয়ার জন্য বড় সুযোগ এই অ্যাপ ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে ওঠা। এখনও যাঁরা এই অ্যাপ ব্যবহার করেন না তাঁরা জেনে নিন কী কী সুবিধা পাওয়া যায়। রেল সামান্য হলেও আর্থিক সুবিধা দেয় অ্যাপ ব্যবহারকারীদের।
জেন নিন কী কী সুবিধা মেলে এই অ্যাপে—
১। এই অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিদিনের টিকিট ছাড়াও মাসিক, ত্রৈমাসিক, ষাণ্মাসিক ও বাৎসরিক টিকিট কাটা যায়। রোজকার টিকিটে কোনও ছাড় না দিলেও সিজন টিকিট কাটলে রেল ০.০৫ শতাংশ ছাড় দেয়। অর্থাৎ কারও ত্রৈমাসিক টিকিটের দাম ১০০০ টাকা হলে দিতে হবে ৯৭৫ টাকা।
২। এই পদ্ধতিতে টিকিট কাটার জন্য ইউটিএস অ্যাপে ‘আর-ওয়ালেট’ রয়েছে। সেখানে নেট ব্যাঙ্কিং, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ইউপিআই মাধ্যমে টাকা ভরে রাখা যায়। যতদিন খুশি টাকা থাকে। টাকা ভরার সময়েও রেল পাঁচ শতাংশ টাকা ক্যাশব্যাক দেয়। অর্থাৎ, কেউ ১০০০ টাকা ভরলে ওয়ালেটে ১,০৫০ টাকা ব্যালান্স দেখাবে। কখনও অ্যাপ ছেড়ে দিলে ওয়ালেটে থাকা যাবতীয় টাকা ফিরিয়ে দেয় রেল। সে ক্ষেত্রে ‘সারেন্ডার আর-ওয়ালেট’ অপশন বেছে নিতে হবে।
৩। এই অ্যাপের মাধ্যমে ২০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের টিকিট সফরের তিন দিন আগেও কাটা যায়। নির্দিষ্ট ফি দিয়ে সেই টিকিট বাতিলও করা যায়। প্লাটফর্ম টিকিটও কাটা যায় এই অ্যাপ থেকে।
৪। মোবাইলে কাটা টিকিট চাইলে ফোন থেকেও দেখানো যায় পরীক্ষকদের। আবার কেউ চাইলে যে স্টেশন থেকে টিকিট কাটা হয়েছে সেখানে গিয়ে অ্যাপ দেখিয়ে কাগজের টিকিট নিতে পারেন।
৫। এই অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট স্টেশনে পৌঁছে গেলে কাটা যাবে না। রেল লাইন থেকে কমপক্ষে ২০০ মিটার দূরে থাকার সময়েই কেটে নিতে হবে। টিকিট কাটার এক ঘণ্টার মধ্যে রেল সফর করা চাই।