ফাইল চিত্র
সাত বছর আগে নরেন্দ্র মোদী সরকার প্রথমবার দিল্লির মসনদে বসার জন্য শপথ পাঠ করেছিল ২৬ মে। ২০১৪ সালের ওই দিনটিকে ভারতের গণতন্ত্রের জন্য ‘কালা দিবস’ তকমা দিয়ে এ বছর তা প্রতিবাদ দিবস হিসেবে পালনের ডাক দিল দিল্লির সীমান্তে কৃষক আন্দোলন চালানো সংযুক্ত কিসান মোর্চা এবং দেশের ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন। ইউনিয়নগুলির যৌথ মঞ্চ জানিয়েছে, কেন্দ্রের বিভিন্ন জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোই এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য। সে দিন সর্বত্র কালো ব্যাজ পড়ে, কালো পতাকা পুঁতে ফের নিজেদের দাবিগুলি পূরণের জন্য কেন্দ্রকে চাপ দেওয়া শুরু হবে।
সমস্ত শ্রম আইনকে চারটি শ্রম বিধিতে বেঁধে চালুর চেষ্টা, তিনটি কৃষি আইন, রাষ্ট্রায়ত্ত এবং সরকারি সংস্থার বেসরকারিকরণ নীতি ইত্যাদিকে কেন্দ্রের জনস্বার্থ বিরোধী পদক্ষেপ চিহ্নিত করে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সেই সঙ্গে পেশ করেছেন সকলের জন্য প্রতিষেধক, জনস্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়ন, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের সম্প্রসারণ, বেকারদের জন্য চাকরি, অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক, কর্মহীন এবং গরিব মানুষের জন্য নিখরচায় রেশন ও মাসে ৭৫০০ টাকা অনুদান, এনপিএস প্রকল্প বাতিল করে পুরনো পেনশন প্রকল্প চালুর মতো দাবি।
ইনটাক, এআইটিইউসি, সিটু, এইচএমএস, ইউটিইউসি-সহ ১০টি ইউনিয়ন বৃহস্পতিবার যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘মোদী সরকার নিজেদের ইচ্ছেমতো যে সব কাজ করছে, তা চুপ করে দেখে যাওয়া সম্ভব নয়। আমাদের দাবিগুলি আদায় না-হওয়া পর্যন্ত লাগাতার আন্দোলন চলবে। কালা দিবসে আমরা সেই শপথই নেব।’’