—ফাইল চিত্র।
গাড়ি শিল্পের বেহাল দশা নিয়ে কিছু দিন আগে তার প্রতিনিধির প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। কাফে কফি ডে-র কর্ণধারের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরে কেন্দ্রের কাছে কর-সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিল শিল্পের একাংশ। এ বার বেহাল অর্থনীতি নিয়ে টুইটারে শিল্প কর্ণধারের প্রশ্নের মুখে খোদ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ফলে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে শিল্পের?
জল্পনা জোরালো হয়েছে নির্মলার উত্তরে। অনেকের প্রশ্ন, অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে যে সব রকম চেষ্টা কেন্দ্র করছে, শিল্পের প্রশ্নের মুখে তার উত্তর দেওয়ার এমন দায়বদ্ধতা আগে এই সরকার দেখিয়েছে কি? নাকি এখন অর্থমন্ত্রীকে টুইটেও জবাব দিতে হচ্ছে অবস্থা বেগতিক আঁচ করে? বিজেপি মুখপাত্র প্রকাশ জাভড়েকড়ের অবশ্য আজও দাবি, সঙ্কটে নয় অর্থনীতি। কেন্দ্র পদক্ষেপ করছে তার ভিত আরও পোক্ত করতে।
বুধবার ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করার কথা ঘোষণা করেন নির্মলা। তার পরেই বায়োকন কর্ণধার কিরণ মজুমদার শ’-এর টুইট ছিল, এ কথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে শোনা যাওয়ার কথা নয় কি? ইঙ্গিত, অর্থমন্ত্রীর মুখ থেকে বরং অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার দাওয়াই শুনলে খুশি হত শিল্প। উত্তরে নির্মলার পাল্টা, ‘‘...নিশ্চয় দেখেছেন অর্থমন্ত্রী হিসেবে অর্থনীতির নানা বিষয়ে কাজ করছি ও কথা বলছি।’’ কিরণও লেখেন, ‘‘এখন বুঝলাম ও সুযোগ পেলাম ভুল শোধরানোর।’’
অনেকে বলছেন, মোদী জমানায় অর্থনীতি বেহাল দেখেও মুখে কুলুপ এঁটে থাকাকে নিরাপদ ভাবে শিল্পের বড় অংশ। নোটবন্দির পরেও তাদের তরফে সমালোচনা হয়েছে কমই। ফলে সম্প্রতি যে ভাবে শিল্প প্রশ্ন তুলছে,
তাতে যেন ধৈর্যচ্যুতির লক্ষণ স্পষ্ট।
অর্থনীতির বেহাল পরিসংখ্যান তুলে ধরে ক্রমাগত আক্রমণ শানাচ্ছেন বিরোধীরা। এ দিনও পরিসংখ্যান মন্ত্রকের সমীক্ষা বলেছে, ২০১৭-১৮ সালে কারখানায় লগ্নি ৩ বছরে সব থেকে কম। এনসিপি নেতা শরদ পওয়ারের প্রশ্ন, ‘‘মোদী বলুন, অর্থনীতির এই দুর্দশায় কত কারখানার ঝাঁপ বন্ধ হল?’’ প্রশ্ন উঠছে, সমালোচনা বাড়ছে বলেই কি অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে লেগে থাকার কথা টুইটে লিখলেন নির্মলা?
শুধু তা-ই নয়। এই টুইটের পরে চব্বিশ ঘণ্টায় অর্থনীতি নিয়েই তিনটি সাংবাদিক বৈঠক করছেন তিনি। একটি এ দিনই হয়েছে। বাকি দু’টি শুক্রবার গোয়ায়।