ঋণ না-মেটানোর দায়ে কেন তাঁকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হবে না, তা কলকাতার সদর দফতরে হাজির হয়ে জানাতে কিংফিশারের কর্ণধারকে নোটিস দিয়েছিল ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। বিজয় মাল্য সেই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত নির্দেশ দেন, বিজয় মাল্যকে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সামনে হাজির হতে না-হলেও তাঁর সচিব বা আইনজীবীকে আসতে হবে। এর পর বিচারপতি দত্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে পাল্টা ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করেন মাল্য। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়ন্ত বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চ ওই আপিল মামলা খারিজ করে বিচারপতি দত্তের নির্দেশকে বহাল রেখেছেন।
এ দিকে, নয়াদিল্লি থেকে সংবাদ সংস্থার খবর: পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক (পিএনবি) কিংফিশার এয়ারলাইন্স-কে নোটিস দিয়ে জানিয়েছিল, তাদের কাছে ৭৭০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। ২১ অগস্ট থেকে হিসাব করে সাত দিনের মধ্যে নোটিসের জবাব না-দিলে কিংফিশার ও তার বিভিন্ন গ্যারান্টর, ইউনাইটেড ব্রুয়ারিজ ও বিজয় মাল্য ইচ্ছাকৃত ভাবে ঋণ বাকি রেখেছেন বলে ধরা হবে। তবে দিল্লি হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার ওই নোটিস খারিজ করেছে। আদালত জানিয়েছে, এর জন্য ব্যাঙ্ককে সাত দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় নথিপত্র দাখিল করতে হবে। তার পর নিজের বক্তব্য জানানোর জন্য ১৫ দিন সময় পাবে কিংফিশার।
এয়ার ইন্ডিয়ার সাইট নিয়ে। ১০০ টাকার টিকিট বিক্রি নিয়ে মাতামাতির জেরে বৃহস্পতিবারও বসে গেল এয়ার ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইট। বহু ক্রেতাই টিকিট বুক করতে চেয়েও পারেননি। ফলে তাঁরা খারাপ পরিষেবার অভিযোগে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।