ফাইল চিত্র।
কেন্দ্র উদ্যোগী হলেও, রাজ্য সরকার সহযোগিতা না-করায় পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিমানবন্দর তৈরি এবং পুরনো বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণ করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ তুললেন বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের দাবি, অভিযোগ মিথ্যা।
বাজেটের পক্ষে প্রচারে রবিবার কলকাতায় এসে আইসিসিআর-এ সিন্ধিয়ার অভিযোগ, “কলকাতায় দু’লক্ষ বর্গমিটারের নতুন বিমানবন্দর করতে চেয়েছিলাম। চালু বিমানবন্দর যাত্রী চলাচলের সর্বোচ্চ সীমা ছুঁয়েছে। নতুনটি তৈরির জন্য রাজ্যের সঙ্গে বহু কথা হয়েছে। চিঠি চালাচালি হয়েছে ছ’মাস ধরে। কিন্তু রাজ্য পদক্ষেপ করেনি।” মন্ত্রীর প্রশ্ন, রাজ্য এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়াকে জমি না-দিলে নতুনটির কাজ শুরু হবে কী ভাবে?
মন্ত্রীর দাবি, কলকাতা বিমানবন্দরে ২.৫ কোটি লোক যাতায়াত করেন। কেন্দ্র চায় ৩.৫ কোটির যাতায়াতের সুযোগসম্পন্ন বিমানবন্দর গড়তে। বাগডোগরা, হাসিমারা ও কলাইকুণ্ডার ক্ষেত্রেও রাজ্যের অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন সিন্ধিয়া। তাঁর কথায়, “বাগডোগরার বিষয়ে ১০ বার চিঠি দিয়ে তাড়াতাড়ি সাড়া দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু রাজ্য ফাইল নাড়ায়নি। ছ’মাস ধরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথার চেষ্টা করছি। কিন্তু সম্ভব হয়নি। ইচ্ছা না-থাকলে কী ভাবে কাজ হবে?”
সুখেন্দুশেখরের অবশ্য দাবি, “উনি মিথ্যা কথা বলেছেন। সিন্ধিয়া রাজপরিবারের মানুষ। রাজারা প্রজাদের উচ্ছেদ করে জমি দখল করতেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে রাজা নয়,
মানুষের শাসন চলছে। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসীকে আগেই বলেছেন, ভাঙড়ে নতুন বিমানবন্দরের জন্য জমির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। রাজ্য তা দ্রুত অধিগ্রহণের চেষ্টা করছে, যাতে নতুন বিমানবন্দরের কাজ শুরু করা যায়। মুখ্যমন্ত্রী এটাও বলেছেন, দ্রুত বাগডোগরার জমি হস্তান্তর করা হবে।”
কলকাতা বিমানবন্দরের উন্নয়নে কেন্দ্র ৭০০ কোটি টাকা খরচ করছে বলেও জানান সিন্ধিয়া। তাঁর ব্যাখ্যা, “৩০০ কোটি নতুন টেকনিক্যাল ব্লক তৈরিতে, ২৬৫ কোটি ট্যাক্সি চলার রাস্তার জন্য এবং ১১০ কোটি খরচ হবে মেট্রোর নতুন টার্মিনাল বিল্ডিংয়ের সঙ্গে বিমানবন্দরকে জুড়তে।”