becharam manna

Becharam Manna: পাওনা নিয়ে রাজ্যের দ্বারস্থ কাঁচা পাট সরবরাহকারীরা

সম্প্রতি সংগঠনের বার্ষিক সভার উদ্বোধনে হাজির ছিলেন শ্রমমন্ত্রী। তাঁর কাছে পাওনা সংক্রান্ত সমস্যার কথা তুলে ধরেন সংগঠনের সদস্যেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৬:১৪
Share:

ফাইল চিত্র।

এক দিকে কাঁচামালের সরবরাহ বাবদ চটকলগুলির কাছে পাওনার অঙ্ক ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। অন্য দিকে মাথা ব্যথা বাড়িয়েছে কাঁচা পাট সরবরাহের উপরে রাজ্য সরকারের চাপানো মার্কেটিং ফি। চটকলগুলিতে কাঁচামাল সরবরাহকারীদের (জুট বেলার্স) দাবি, এই জোড়া কারণে চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। সমাধানের আর্জি জানিয়ে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্নার দ্বারস্থ হয়েছে তাঁদের সংগঠন জুট বেলার্স অ্যাসোসিয়েশন।

Advertisement

সম্প্রতি সংগঠনের বার্ষিক সভার উদ্বোধনে হাজির ছিলেন শ্রমমন্ত্রী। তাঁর কাছে পাওনা সংক্রান্ত সমস্যার কথা তুলে ধরেন সংগঠনের সদস্যেরা। জানান, সমস্যা বাড়িয়েছে ট্রাকে করে চটকলে সরবরাহ করা কাঁচা পাটের মোট মূল্যের উপরে ১% হারে মার্কেটিং ফি। শ্রমমন্ত্রী আশ্বাস দেন, বিষয়গুলি নিয়ে তিনি সরকার এবং চটকল মালিকদের সঙ্গে কথা বলবেন।

জুট বেলার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান ওম সোনি বলেন, ‘‘কোনও কোনও চটকল ছ’সাত বছর টাকা মেটায়নি।’’ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সোনির অভিযোগ, ‘‘শুধু এই রাজ্যেই কাঁচাপাট সরবরাহের উপরে মার্কেটিং ফি চালু করা হয়েছে। এর ফলে ট্রাক পিছু ৫০০০ টাকা থেকে ১০,০০০ টাকা ফি গুনতে হচ্ছে।’’

Advertisement

চটকল মালিকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রাঘবেন্দ্র গুপ্ত বকেয়ার কথা অস্বীকার করেননি। তবে তাঁর বক্তব্য, ‘‘বকেয়ার উপরে সুদও মেটান চটকল মালিকরা।’’ তিনি জানান, বেলাররা মার্কেটিং ফি না-মেটালে তা চটকলগুলির থেকে আদায় করে নেওয়ার কথা রাজ্যের। তাঁর কথায়, ‘‘চটকলগুলিও আর্থিক সমস্যায় ভুগছে। গত বছর কাঁচা পাটের সমস্যার ফলে অনেক বেশি দামে তা কিনতে হয়েছে। ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশ সত্ত্বেও কেন্দ্র ২০১৬ সাল থেকে চটের বস্তার দাম বাড়াচ্ছে না। ফলে আমাদের সমস্যা আরও বেড়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement