JioHotstar Controversy

রিলায়্যান্সের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ের মধ্যেই ডোমেন বিক্রি! ‘জিয়োহটস্টার’ কিনল কারা?

‘জিয়োহটস্টার’-এর ডোমেনকে ঘিরে বাড়ছে জটিলতা। দুবাইয়ের দুই কিশোর-কিশোরীকে তা দিল্লির প্রযুক্তিবিদ বিক্রি করেছেন বলে খবর প্রকাশ্যে এসেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৪ ১৮:৩৬
Share:

দুবাইয়ের এই দুই কিশোর-কিশোরী কিনেছে ‘জিয়োহটস্টার’ ওয়েবসাইট। ছবি: সংগৃহীত।

রিলায়্যান্সের ‘জিয়ো’ এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘হটস্টার’-এর সংযুক্তিকরণের আগেই ‘জিয়োহটস্টার’ নামের ডোমেন কিনে বিপাকে পড়েন দিল্লির এক প্রযুক্তিবিদ। তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে মুকেশ অম্বানীর সংস্থা। এই পরিস্থিতিতে ওই ডোমেন দুবাই ভিত্তিক এক দাতব্য সংস্থাকে বিক্রি করার অভিযোগ উঠল দিল্লির প্রযুক্তিবিদের বিরুদ্ধে। শনিবার, ২৬ অক্টোবর ডোমেনটির ইউআরএল এবং হোমপেজ থেকে বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে।

Advertisement

জিয়োহটস্টার ডট কমের নতুন হোমপেজে বলা হয়েছে, ওয়েবসাইটটি দুবাইয়ের দুই কিশোর-কিশোরী কিনে নিয়েছে। সম্পর্কে তারা ভাই-বোন। তাদের নাম জয়নাম ও জীবিকা। শিশুদের নিয়ে একটি সংগঠন চালায় তারা। এ ছাড়া আরও কিছু সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এই জয়নাম ও জীবিকা।

‘‘গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে আমাদের সাম্প্রতিক যাত্রা শুরু হয়েছিল। ভারতে অবিস্মরণীয় ৫০ দিন কাটানোর পর দুবাইতে ফিরে আসি। আমাদের একটা উদ্দেশ্য রয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক অবস্থান থেকে আসা শিশুদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি। শিক্ষার প্রতি ভালবাসা, অধ্যয়নের দক্ষতা এবং লক্ষ্য নির্ধারণের বিষয়টা তাদের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছি। যা ওই শিশুদের বড় স্বপ্ন দেখতে অনুপ্রাণিত করবে।’’ ডোমেনটির হোমপেজে লেখা হয়েছে।

Advertisement

দিল্লির প্রযুক্তিবিদের থেকে ডোমেন কেনার বিষয়টি হোমপেজে ফলাও করে জানিয়েছে জয়নাম ও জীবিকা। তাদের কথায়, ‘‘দুবাইতে ফেরার সময়ে, তখন দিল্লির এক সফ্‌টঅয়্যার ডেভলপারের থেকে ডোমেনটি আমরা কিনে নিয়েছি। তাঁর সুবিধার্থেই এটা করেছি আমরা।’’ বিষয়টি নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েননি নেটাগরিকেরা।

‘‘জিয়োহটস্টার আপডেট! সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর কিশোর-কিশোরীকে ডোমেন বিক্রি করেছেন দিল্লিবাসী। অম্বানীর আইনজীবী কিছুই করতে পারবেন না। কারণ, এটা আর ভারতের আইনের আওতায় নেই। আন্তর্জাতিক আইন মেনে এ বার এটার বিচার হবে। অম্বানীকে হয়তো যে টাকা তারা চাইবে, সেটাই দিতে হবে।’’ এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) এ কথা লিখেছেন এক সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement