২০২৩-এর ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিটি ছোট শহর, মফস্সল, তালুকে ছড়িয়ে দেওয়া হবে ৫জি পরিষেবা। ফাইল ছবি
স্পেকট্রামের নিলামে অন্যদের থেকে এগিয়ে ছিল রিলায়্যান্স জিয়ো। কিন্তু বাজারে দ্রুত গতির নেট পরিষেবা ৫জি আনার দিনক্ষণ নিয়ে মুখে কুলুপ আঁটে তারা। অবশেষে সোমবার রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ়ের (আরআইএল) বার্ষিক সাধারণ সভায় গোটাটা খোলসা করলেন কর্ণধার মুকেশ অম্বানী। জানালেন, কলকাতা-সহ চার মেট্রো ও বড় শহরগুলিতে জিয়োর ৫জি আসবে দীপাবলির মধ্যেই। তার পরে ধাপে ধাপে গোটা দেশে।
এ দিন মুকেশের বার্তার পরেই দেশ জুড়ে চর্চা, প্রথমবার ৪জি পরিষেবা চালুর সময় দেশের টেলিকম ব্যবসায় কার্যত ‘সুনামি’ এনেছিল জিয়ো। সস্তায় সকলের কাছে ডেটা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের চাপে ফেলে দেয় তারা। সস্তার মাসুল দেওয়ার দৌড় শুরু হয় টেলিকম শিল্পে। ৫জি-ও তেমন ঢেউ আনবে কি না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বিশেষত এ বারও মুকেশ যেহেতু ঘরে ঘরে পরিষেবাটি পৌঁছনোর কথা বলেছেন। উত্তর মিলবে শীঘ্রই। সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের দাবি, টেলিকম দুনিয়ায় ফের আলোড়ন উঠল বলে।
মুকেশ জানিয়েছেন, ৫জি-র শুরুটা বড় শহর দিয়ে হলেও, তারাই শুধু অগ্রাধিকার পাবে না। ডিজিটাল স্বাধীনতা প্রত্যেক ভারতীয়ের জন্মগত অধিকার। ২০২৩-এর ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিটি ছোট শহর, মফস্সল, তালুকে ছড়িয়ে দেওয়া হবে পরিষেবা। মোট লগ্নি ২ লক্ষ কোটি টাকা। মাত্র ১৮ মাসে এ ভাবে সারা দেশে ৫জি ছড়ানো বিশ্বের মধ্যে দ্রুততম বলেও দাবি মুকেশের।