প্রতীকী ছবি। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
এখন সোনা বা সোনার গয়না কিনতে ক্রেতাদের ৩ শতাংশ পণ্য পরিষেবা কর (জিএসটি) দিতে হয়। সেই হার কমিয়ে ১.২৫ করা হোক। সাধারণ বাজেটের আগে এমনই দাবি তুলল ভারতে সোনা ও রত্ন ব্যবসায়ীদের মূল সংগঠন অল ইন্ডিয়া জেম অ্যান্ড জুয়েলারি ডোমেস্টিক কাউন্সিল (জিজেসি)। শুধু তাই নয়, সোনা ও গয়নার বিক্রি বাড়াতে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি তুলেছে জিজেসি। এখন দু’লাখ টাকা বা তার বেশি মূল্যের সোনা কিনতে প্যানের উল্লেখ বাধ্যতামূলক। সেটা বাড়িয়ে যাতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক পাঁচ লাখ টাকা করে সে ব্যাপারেও আর্জি জানানো হয়েছে। এটা দুই দাবি মেনে নেওয়া হলে দেশে সোনার ব্যবসায় নতুন গতি আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
অতিমারি পরিস্থিতির কারণে অনেক ক্ষেত্রের মতো হলুদ ধাতুর ব্যবসাতেও প্রভাব পড়েছে। সেই প্রভাব থেকে মুক্তি পেতে এই দুই দাবি কেন্দ্রের বিবেচনা করা উচিত বলেই মনে করছে জিজেসি। কাউন্সিলের বক্তব্য, ২০২০ ও ২০২১ সালের ধাক্কার পরে গয়নার ব্যবসা এখন একটু হলেও ঘুরে দাঁড়াবার মুখে। তবে নতুন করে ওমিক্রনের হানা ব্যবসায় ফের ধাক্কা দিতে চলেছে। টানা অতিমারি পরিস্থিতিতে খুচরো সোনার গয়না ব্যবসাতেও প্রভাব পড়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। গয়নার সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য ব্যবসাতেও এর প্রভাব পড়েছে। এই ক্ষেত্রে যুক্ত ব্যবসায়ী থেকে শিল্পী সকলেই ক্ষতির মুখে। সেই কারণেই গয়না শিল্পকে বাঁচাতে কেন্দ্রের পক্ষে ওই দুই পদক্ষেপ দরকার বলে দাবি করেছে কাউন্সিল। একই সঙ্গে ২২ ক্যারাট অর্থাৎ গয়নার সোনা কেনার ক্ষেত্রে যাতে ইএমআই পদ্ধতি চালু করা যায় সে বিষয়ে উদ্যোগী হতেও কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানিয়েছে কাউন্সিল। একই সঙ্গে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে সোনা কিনলে ব্যাঙ্ক যাতে কমিশনের হার কমায় সে জন্যও সাধারণ বাজেটে অর্থমন্ত্রকের পদক্ষেপ চেয়েছে কাউন্সিল।