বঞ্চনার অভিযোগ জেট লাইট কর্মীদের

জেট লাইট কর্মীদের আইনজীবী শেখর নানাবতী বলেন, জেট এয়ারের পর্ষদ ভাঙা হয়েছে। অথচ খাতায়-কলমে জেট লাইটের আগের পর্ষদই রয়ে গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৯ ০২:৫৮
Share:

ক্ষোভ: সাংবাদিক বৈঠকে জেট লাইটের কর্মীরা। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

উড়ান যত দিন চালু ছিল, তত দিন কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছেন জেট এয়ারওয়েজের কর্মীদের সঙ্গে। মাসে বেতনের স্লিপও আসত জেট এয়ারের ‘পে রোল-আইডি’ থেকেই। কিন্তু মুখ থুবড়ে পড়া জেট এয়ার এনসিএলটি-তে যাওয়ার পরে বকেয়া বেতন-সহ পাওনা পাওয়ার বিষয়ে তাঁরা এখন কার্যত দুয়োরানির ব্যবহার পাচ্ছেন বলে অভিযোগ তুললেন জেট লাইটের কর্মীরা।

Advertisement

২০০৭ সালে এয়ার সহারাকে জেট হাতে নেওয়ার পরে মূলত তারই নাম বদলে হয় জেট লাইট। জেটের সস্তার উড়ান পরিষেবা দেওয়া পুরোদস্তুর শাখা সংস্থা। কিন্তু মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে সেই জেট লাইটের কর্মীদের অভিযোগ, সংস্থা পরিষেবা বন্ধ করার পরে নিজেদের বকেয়া বেতন দাবি করা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা।

জেট লাইটে দীর্ঘ দিনের ইঞ্জিনিয়ার আর কে গুপ্তর অভিযোগ, জেট এনসিএলটিতে যাওয়ায় আশা ছিল, এ বার অন্তত বকেয়া টাকা পাবেন তাঁরা। কিন্তু ২ জুলাই এনসিএলটি নিযুক্ত আইআরপি জানান যে, নিয়ন্ত্রকের কাছে রেকর্ড অনুযায়ী আইনি ভাবে জেট লাইট সম্পূর্ণ পৃথক সংস্থা। খাতায়-কলমে ধারও নেই তাদের। ফলে জেট এয়ারকে এনসিএলটি-তে পাঠিয়ে ঋণদাতাদের জোট যে বকেয়া আদায়ের আর্জি জানিয়েছে, তার সঙ্গে সম্পর্ক নেই জেট লাইটের। তাই পাওনা আদায়ের ফর্ম পর্যন্ত তাঁরা পূরণ করতে পারেননি বলে কর্মীদের দাবি।

Advertisement

কর্মীদের আর এক মুখপাত্র বিজয় ঝা-এর প্রশ্ন, আলাদা সংস্থা হলে এত বছর জেট লাইটের বহু কর্মী জেট এয়ারের বিমান রক্ষণাবেক্ষণ করলেন কী ভাবে? কী করেই বা একই পে-রোল থেকে বেতন পেলেন? আর যদি জেট লাইট সত্যিই ঋণমুক্ত ও ভাল আর্থিক স্বাস্থ্যের সংস্থা হয়, তবে ১৭ এপ্রিল জেট এয়ারের সঙ্গে তাদের উড়ানও বন্ধ হল কেন? কেনই বা জানুয়ারি থেকে বেতন মেলেনি? শুধু তা-ই নয়, নভেম্বর থেকে আয়ের উৎসে কাটা কর সংস্থা আয়কর দফতরে জমা দেয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ। দাবি, কর্মী পিএফ ও পেনশনের টাকাও ফেব্রুয়ারি থেকে আর কেন্দ্রের ঘরে জমা পড়েনি।

জেট লাইট কর্মীদের আইনজীবী শেখর নানাবতী বলেন, জেট এয়ারের পর্ষদ ভাঙা হয়েছে। অথচ খাতায়-কলমে জেট লাইটের আগের পর্ষদই রয়ে গিয়েছে। তাতে নাম আছে প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গয়ালের। বেতন না পেয়ে হেনস্থা হচ্ছেন প্রায় ৬০০ কর্মী। তিনি জানান, সমস্যার কথা সংস্থা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। চাইছেন, হয় জেট লাইট ফের চালু হোক, নয়তো নিদেন পক্ষে জেট এয়ারের মতোই বিক্রির জন্য তোলা হোক তাকে। যাতে সেই টাকায় বকেয়া পান কর্মীরা। না হলে, জেট লাইটের জন্য এনসিএলটি-তে পৃথক আর্জি জানানো হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement