ফাইল ছবি
জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইবুনালের (এনসিএলটি) ছাড়পত্র পাওয়ার চার থেকে ছ’মাসের মধ্যে জেট এয়ারওয়েজ় আকাশে ফিরবে বলে মনে করেন নতুন মালিক মুরারী লাল জালান। গত অক্টোবরে ব্রিটেনের কালরক ক্যাপিটালের সঙ্গে জোট বেঁধে বন্ধ থাকা বিমান সংস্থাটি কেনার দরপত্র জিতেছেন যিনি। রাঁচীতে জন্মানো এবং বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরশাহির এই উদ্যোগপতির আশা, শীঘ্রই পাওয়া যাবে এই ছাড়পত্র। তার পরেই ২৫টি বিমান নিয়ে পরিষেবা চালু করবেন তাঁরা।
২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে বন্ধ রয়েছে জেটের পরিষেবা। দেউলিয়া আইনে তা বিক্রির জন্য দরপত্র চেয়েছিল ঋণদাতারা। শেষ পর্যন্ত অক্টোবরে নিলামে জেতার পরেই জালান বলেছিলেন, ২০২১ সালে জেটের পরিষেবা শুরু করতে চান তাঁরা। রবিবার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, একটি বিমান সংস্থাকে ঘুরিয়ে দাঁড় করানোর ক্ষেত্রে কিছু কিছু জায়গায় এক দু’মাস দেরি হলেও ক্ষতি নেই। বরং অতিমারির মধ্যেই সেই সুযোগ সব চেয়ে বেশি বলে মনে করেন তিনি।
জালানের কথায়, এই সময়ে সারা বিশ্বের বিমান পরিষেবা ধুঁকছে। তবে ভারতে ইতিমধ্যেই পরিষেবা করোনার আগের ৭০% ছুঁয়েছে। ফলে যত দিনে জেট ফের আকাশে ফিরবে তত দিনে পরিস্থিতি আরও স্বাভাবিক হয়ে আসবে। উল্টে এই সময়ে পরিষেবা চালুর ব্যবস্থা করার জন্য যা যা দরকার, সেই কাজে খরচ তুলনায় কম হবে। ফলে তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্যেও সুবিধা হবে সংস্থারই।
পরিষেবা শুরুর কথা বললেও সংস্থার পরিকল্পনা নিয়ে অবশ্য বিস্তারিত কিছু জানাননি এই উদ্যোগপতি। শুধু বলেছেন, তাঁরা চান মানুষ যেন নিজের জায়গা থেকেই বিমানে করে গন্তব্যে যেতে পারেন, সেই ব্যবস্থাই করতে চান তাঁরা। জালানের কথায়, আগের মতোই দিল্লি, মুম্বই ও বেঙ্গালুরুতে থাকবে জেটের অফিস। এমনকি ছোট শহরগুলিতেও তা খোলা হতে পারে। আর দেশে যাত্রী পরিষেবার পাশাপাশি খোলা থাকবে পণ্য পরিবহণ ও বিদেশে পরিষেবা চালুর পথও। প্রথম পর্যায়ে জোর দেওয়া হবে বিমান হাতে নেওয়া এবং কর্মী নিয়োগে। তবে আপাতত এনসিএলটির সায়ের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন তাঁরা।