আয় বাড়ানোর চেষ্টার কথা ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছে জেট
কেন্দ্র ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলির আতসকাচের তলায় দাঁড়িয়ে অস্বস্তি যে বাড়ছে, তা স্পষ্ট হল বুধবার। জেট এয়ারওয়েজ স্টক এক্সচেঞ্জকে জানাল, আগামী ২৭ তারিখের যে বৈঠকে অডিট না হওয়া আর্থিক ফল নিয়ে আলোচনা করার কথা পর্ষদের, সেখানে বিবেচিত হবে খরচ কমানোর নানা উদ্যোগ। খতিয়ে দেখা হবে ঘুরে দাঁড়ানোর কৌশলও।
জ্বালানি ও ডলারের দাম বাড়ায় হালে খরচ সামলাতে নাজেহাল দেশের প্রায় সব বিমান সংস্থাই। এই অবস্থায় খরচ কমিয়ে আয় বাড়ানোর চেষ্টার কথা ইতিমধ্যেই স্বীকার করেছে জেট। তবে অডিট না হওয়ার দরুন তারই মধ্যে পিছিয়েছে এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকের ফল ঘোষণার দিন। যার হাত ধরে জোরালো ভাবে দানা বেঁধেছে তাদের আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা।
সেই ফল নিয়ে আলোচনা ও তা ঘোষণার দিন স্থির করতেই ২৭ তারিখ বৈঠকে বসার কথা পর্ষদের। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, জল্পনার জট দ্রুত কাটাতে এ বার তার সঙ্গে খরচ কমানো ও চাঙ্গা হওয়ার পরিকল্পনাকেও সামিল করা হল। কারণ ইতিমধ্যেই সেবি, স্টক এক্সচেঞ্জ ও বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের আতসকাচের তলায় এসেছে সংস্থা।
সূত্রের দাবি, জেটে তহবিল সরানোর অভিযোগ নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছে কোম্পানি মন্ত্রক। ফল ঘোষণা পিছনোর ব্যাপারে সংস্থার অডিটরদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে মন্ত্রকও। যদিও মন্ত্রকের তরফে তাদের কিছু জানানো হয়নি বলে দাবি জেটের। তারা এ-ও বলছে, সংস্থার নেওয়া কোনও ঋণ অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত হয়নি। আর্থিক দায়ও নিয়মিত মেটাচ্ছে তারা।