সূর্যোদয়ের দেশ জাপানের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ এখন বার্ধক্যের কারণে কাজ করতে অক্ষম। যা শুধু তাঁদের দেখাশোনার সমস্যাই বাড়াচ্ছে না, এর জেরে চাপ বাড়ছে অর্থনীতির উপরেও। এতে এক দিকে যেমন কর্মী খুঁজে পেতে সমস্যা হচ্ছে। অন্য দিকে, বয়স্কদের চিকিৎসার চড়া খরচ, পেনশন-সহ সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে আর্থিক সংস্থান করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন নীতি নির্ধারকেরা। এই সমস্যা যাতে অন্যান্য দেশের না-হয়, তা নিয়ে সতর্ক করতে জি-২০ দেশগুলির মঞ্চকেই বেছে নিল জাপান। সেই সঙ্গে এই প্রথম আন্তর্জাতিক মঞ্চে অর্থনীতিতে বয়সের বিষয়টি মান্যতা পেল।
রবিবার ফুকুওয়াকায় অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকের শেষ দিনে জাপানের পক্ষ থেকে তারো আসো বলেন, কোনও দেশ আর্থিক দিক থেকে উন্নত হওয়ার আগেই তাদের সমাজ বুড়িয়ে গেলে সেই সমস্যার সমাধান করা কঠিন হবে। এখনও পর্যন্ত স্পেন, ইতালি ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো উন্নত দেশগুলিতে জন্মের কম হার ও বেশি আয়ুর কারণে বয়স্কদের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা কমতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু এখন সেই সমস্যা ছড়িয়ে পড়ছে চিন, ব্রাজিলের মতো উন্নয়নশীল দেশেও। কিন্তু বহু দেশই এখনও পর্যন্ত তাঁদের সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে পারেনি। তা নিয়েই আগাম সতর্ক করেছেন তিনি।
২০৫০ সালে বিশ্বে ২০০ কোটিরও বেশি প্রবীণ নাগরিক থাকবেন বলে পূর্বাভাস ওইসিডি-র। তাদের মতে, জি-২০ দেশগুলির ক্ষেত্রে এই সমস্যা আরও বেশি। কিন্তু তা আটকানোর উপায় নেই। ফলে এখন থেকেই আর্থিক ভাবে তৈরি হতে না-পারলে সমস্যা হবে। প্রবীণ নাগরিকেরাও যাতে কাজ করতে পারেন, এমন চাকরির ব্যবস্থা করা জরুরি বলে জানান ওইসিডি-র কর্তা অ্যাঞ্জেল গুরিয়া। তাঁর মতে, তরুণ প্রজন্মকে আরও বেশি করে ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করতে হবে।
সংবাদ সংস্থা