ফাইল চিত্র।
কোনও বিতর্ক বা সংশয় নয়। এ রাজ্যের পর্যটকদের টানতে সাম্প্রতিক পর্যটন ব্যবসার ‘উজ্জ্বল’ ছবিই তুলে ধরতে চাইছেন জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটন বিভাগের কর্তারা। তাঁদের বার্তা, মানুষ নির্বিঘ্নে সেখানে বেড়াতে যেতে পারেন। ওই অঞ্চল তাঁদের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। গেলেই বদলে যাবে সব ধারণা। করোনা বিধি মেনে তাঁদের জন্য তৈরি হয়ে রয়েছে সেখানকার পর্যটন। সাজিয়ে রেখেছে উৎসবকেন্দ্রীক ভ্রমণের পসরাও।
দেশে পর্যটনের মানচিত্রে বরাবরই উজ্জ্বল বিন্দু জম্মু-কাশ্মীর। আকর্ষণীয় গন্তব্য পশ্চিমবঙ্গের ভ্রমণপিপাসুদের কাছেও। সেখানকার অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রও পর্যটন ব্যবসা। কিন্তু নানা বিতর্কের জেরে তাকে ঘিরে সংশয় তৈরি হয়। সম্প্রতি আফগানিস্তানের ক্ষমতা তালিবানের হাতে যাওয়ায় সীমান্তকে কেন্দ্র করে সেই সংশয় আরও গভীর হয়েছে। বুধবার এক আলোচনাসভায় এই সংক্রান্ত প্রশ্নে কোনও মন্তব্য করতে চাননি জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটন দফতরের অতিরিক্ত সচিব ওয়াসিম রাজা। তবে তাঁর দাবি, সেখানে পর্যটকদের উপরে কোনও অপরাধের ঘটনা প্রায় নেই। বিশেষ করে মহিলা পর্যটকদের উপরে অপরাধের ঘটনা শূন্য। পাশাপাশি পর্যটনের সঙ্গে যুক্তদের ৯৫ শতাংশেরও বেশি দু’টি করে প্রতিষেধক নিয়েছেন।
ওয়াসিমের দাবি, অগস্টেই জম্মু-কাশ্মীরে পা রেখেছেন ১১ লক্ষেরও বেশি পর্যটক। অধিকাংশ হোটেলও ভর্তি ছিল। পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, গুজরাতের মতো রাজ্য থেকে সবচেয়ে বেশি পর্যটক পাড়ি দিয়েছেন। সম্প্রতি জম্মুর বিমানবন্দরে দৈনিক ১৬-১৮টি করে বিমান ওঠানামা করছে। ওয়াসিম বলেন, ‘‘নির্ভয়ে আসুন। এলে ধারণা বদলে যাবে। ২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পর্যটকদের আতিথেয়তা জানানোর সংস্কৃতি আমাদের ভিত্তি।’’ পুজোর মরসুমের পাশাপাশি আগামী পাঁচ-ছ’মাস পর্যটক টানতে অন্তত ৭৫টি উৎসবকেন্দ্রীক পর্যটন সূচির পরিকল্পনা নিয়েছেন তাঁরা।
এ দিন সভায় উপস্থিত এ রাজ্যের পর্যটন শিল্পের কর্তারাও দাবি করেন, সীমান্ত সমস্যা বা অন্য কোনও সংশয় জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটনের ক্ষেত্রে আদৌ বাধা নয়। বরং পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে আগের মতোই এখনও এ রাজ্যের পর্যটকদের কাছে সমান জনপ্রিয়।