দেউলিয়া এসভিবিকে কিনতে চলেছেন টুইটার কর্ণধার ইলন মাস্ক। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমির থেকে ফকির হয়ে ঝাঁপ বন্ধ করেছে আমেরিকার অন্যতম বড় সিলিকন ভ্যালি ব্যাঙ্ক (এসভিবি)। এ বার দেউলিয়া এসভিবি কিনতে ঝাঁপাচ্ছেন ইলন মাস্ক? সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে অন্তত তেমনই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। রেজরের কর্ণধার এই সংক্রান্ত প্রস্তাব দিয়ে টুইটের জবাবে এলন বলেছেন, এই প্রস্তাব নিয়ে খোলামনে ভাবতে তিনি তৈরি। তার পরেই জল্পনা দানা বাঁধতে শুরু করেছে।
মাত্র দু’দিনের মধ্যে মুখ থুবড়ে পড়েছে আমেরিকার ১৬তম বড় ব্যাঙ্ক এসভিবি। এর কারণ হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক গতিবিধিকে তুলে ধরা হচ্ছে। গত এক বছরে আমেরিকায় লাফিয়ে বেড়ে চলা মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম পরাতে সুদের হার বাড়িয়েছে ফেডারাল রিজার্ভ। তার জের এসে পড়েছে এসভিবির মতো ব্যাঙ্কের ভাঁড়ারে। ক্রমাগত সুদ বৃদ্ধির ধাক্কা সামলাতে না পেরেই ঝাঁপ গোটানো। এই পরিস্থিতিতে কি সিলিকন ভ্যালির ত্রাতা হয়ে এগিয়ে আসতে চলেছেন টুইটারের কর্ণধার? এই জল্পনা ডানা মেলেছে রেজ়রের কর্ণধারের টুইটের জবাবে ইলনের উত্তরে।
রেজ়রের কর্ণধার মিন লিয়াং তান একটি টুইট করেন। তাতে বৈদ্যুতিক গাড়ি টেসলা এবং মহাকাশযান নির্মাণকারী সংস্থা স্পেসএক্সের মালিকের উদ্দেশে মিন লিখেছেন, ‘‘আমার মনে হয় এসভিবিকে কিনে নেওয়া উচিত টুইটারের এবং তার পর ডিজিটাল ব্যাঙ্কে পরিণত করা।’’ মিনের সেই টুইটেই জবাব দিয়েছেন ইলন। তিনি লিখেছেন, ‘‘বিষয় ভেবে দেখছি।’’
তার পরেই মাস্কের ঝুলিতে এসভিবিও ঢুকতে চলেছে কি না তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। অনেকেই মনে করছেন, টুইটারের পর এ বার ইলনের ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রেও বিনিয়োগ করা উচিত। আবার অনেকের মতে মাস্ক ব্যবসা খুব ভাল বোঝেন। তাই ঝুঁকির বাজারে বড় বিনিয়োগ করার আগে অন্তত দু’বার ভেবে দেখবেন তিনি।
মূলত তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে পুঁজির জোগান দিত এসভিবি। রাতারাতি ব্যাঙ্ক লাটে ওঠায় স্বভাবতই চোখে অন্ধকার দেখছে বিশ্বের অসংখ্য স্টার্টআপ সংস্থা। তার প্রভাব সরাসরি পড়বে বিশ্বের অর্থনীতিতে। এই পরিস্থিতিতে এসভিবিকে বাঁচাতে কি গাঁটের কড়ি ঢালবেন টুইটারের মালিক? কোটি টাকার প্রশ্ন এখন সেটাই।