বিশ্ব বাজারে ইরানের তেল বিক্রি শূন্যে নামিয়ে আনার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু আমেরিকার সেই পরিকল্পনা স্রেফ দিবাস্বপ্নই থেকে যাবে বলে এ বার পাল্টা হুঙ্কার দিল ইরানও।
পারমাণবিক চুক্তির সমর্থন চাইতে ইউরোপে আসা ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানি বলেন, ‘‘ওই সব বাড়তি কথা অর্থহীন। ভিত্তিহীন ওই হুমকি।’’ তেহরানে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও তিনি একই কথা বলেন। কটাক্ষ করেন ট্রাম্প প্রশাসনকে। হুমকি দেন, শেষে সত্যিই তা করলে, ফল ভুগবে আমেরিকা।
তবে ইরানের পাল্টা হুঙ্কারের দিনে ফের সুর চড়িয়েছে আমেরিকাও। জানিয়েছে, ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধ করা সব দেশের পাশে দাঁড়াবে তারা। কিন্তু তা বলে ভারত, তুর্কি-সহ কোনও দেশকে এ বিষয়ে ছাড় দেওয়া হবে না।
৪ নভেম্বরের মধ্যে ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধ করার এই মার্কিন চাপ দিল্লির কাছে দড়ির উপরে হাঁটা। এক দিকে ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করা মানে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা। এতে ধাক্কা খেতে পারে ভারতের অর্থনীতি। মেঘ ঘনাতে পারে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে। তেমনই ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধের ঝক্কিও কম নয়। এ দেশে মোট তেল আমদানির প্রায় ১৩% আসে পশ্চিম এশিয়ার ওই দেশ থেকে।
সূত্রের খবর, এ দিন অবশ্য এরই মধ্যে ইরাকি তেল কিনেছে ভারত। তেল উত্তোলন দ্রুত বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিও। যা নিয়ে ইরানের সঙ্গে কথার লড়াইয়ে জড়িয়েছে তারা।