ইরানের উপর পশ্চিমী দুনিয়ার আর্থিক নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর থেকে ভারতে এ পর্যন্ত তাদের অশোধিত তেল রফতানি ছুঁয়েছে দিনে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার ব্যারেল। শনিবার ইরানের তেলমন্ত্রী বিজান জংগানেশ জানান, আগামী বছরের মধ্যেই তা ৪ লক্ষ ডলার ছোঁবে বলে তাঁর আশা। ভারতের তেলমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে এ কথা জানান তিনি।
তেল রফতানি সংক্রান্ত এক চুক্তিতেও সই করেছেন দু’দেশের তেলমন্ত্রীরা। পাশাপাশি পেট্রোকেমিক্যাল ক্ষেত্রে সহযোগিতা এবং ইরানে একটি গ্যাস ক্ষেত্র তৈরির ব্যাপারেও চুক্তি হয়েছে। প্রধান জানান, দক্ষিণ-পূর্ব ইরানের চাবাহর বন্দর উন্নয়নে ২ হাজার কোটি ডলার (প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি টাকা) লগ্নির পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের।
প্রসঙ্গত, ইরানের সঙ্গে পরমাণু ক্ষেত্রে রফার পথেই হেঁটেছে আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দুনিয়া। মার্কিন কূটনীতিকরা এক সময়ে ইরানের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার নিয়ে বিপদের কথা প্রচার করলেও দীর্ঘ এক দশক ধরে বহাল থাকা রাষ্ট্রপুঞ্জের আন্তর্জাতিক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা উঠে যায় জানুয়ারিতে। অর্থনীতির চাকা নতুন করে ঘোরার আশায় ইরান তাই এ বার ভারতের সঙ্গে লেনদেন বাড়াচ্ছে। সরাসরি নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে ভারত বাধ্য ছিল না বলেই সে সময়ে ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে গিয়েছে নয়াদিল্লি। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রায় দাম মেটানোর সমস্যার কারণে লেনদেনের পরিমাণ অনেকটাই কমে যায়।